ফলের বাজারে আগুন
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৯:৩০:৪৫ অপরাহ্ন
জালালাবাদ রিপোর্ট : নিত্যপণ্যের মতো ফলের বাজারেও আগুন যেন বেড়েই চলেছে। প্রতি সপ্তাহে সপ্তাহে বাড়ছে বিদেশি ফলের দাম। তবে তুলনামূলক কিছুটা কমে পাওয়া যাচ্ছে দেশি ফলগুলো।শুক্রবার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মানভেদে প্রতি কেজি মাল্টা বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ থেকে ৪২০ টাকায়, নাশপতি ২৭০ থেকে ২৮০, লাল আঙুর ৪২০, সবুজ আঙুর ৪০০, ফুজি আপেল ২৮০ থেকে ৩০০, গালা আপেল ২৮০ থেকে ৩২০, সবুজ আপেল ৩৮০ থেকে ৪২০, অস্ট্রেলিয়ান আপেল ৩০০ থেকে ৩৩০, কমলা ৩৬০ থেকে ৪০০, সাম্বাম ১৫০, নাগফল ২৬০ থেকে ৩২০, আনার ৩০০ থেকে ৪৫০ ও ড্রাগন ফল ২৫০ থেকে ৩২০ টাকায়।
বিক্রেতারা বলছেন, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেশিরভাগ বিদেশি ফলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে মাল্টার দাম প্রায় কেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে গেছে। এছাড়া আনার, আঙুর, কমলাসহ আরও কিছু ফলের দাম ২০ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে বেড়েছে। শুধু কেজিতে ৪০ টাকা কমেছে সবুজ আপেলের দাম।দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে বিক্রেতারা বলেন, প্রতি সপ্তাহে ফলের দাম বাড়ছে। কিন্তু কেন বাড়ছে সেটা আর আমদানিকারকরা বলেন না। তারা শুধু দাম বাড়ায়। এখন আনার, লাল আঙুর, কমলার সিজন। কিন্তু তারপরেও এসব ফলের দাম অনেক বেশি। আমরা বাদামতলী থেকে ফল কিনে এনে বিক্রি করি। কেজিতে ১০-১২ টাকা লাভ করি। কেন দাম বাড়ছে সেটা বলতে পারবো না।আরেক বিক্রেতা বলেন, বর্তমানে সিজন হিসেবে ফলের দাম অনেক বেশি। ফল আমদানিতে ট্যাক্স বাড়ায় আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন আমদানিকারকরা। যার কারণে বাজারে বিদেশি ফলের সরবরাহ কম। আর এজন্যই তারা নিজেদের ইচ্ছে মতো দাম বাড়াচ্ছেন। তারা যে দামে বিক্রি করেন আমাদেরও সেই দামেই কিনতে হয়। এছাড়া অন্য কোথাও থেকে বাজার যাচাই করে কেনার উপায় নেই।এক বিক্রেতা বলেন, এক মাস আগে ১৫ কেজির এক কার্টুন মাল্টা কিনেছি দুই হাজার ৫০০ টাকা থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকায়। অথচ গতকাল সেই একই মাল্টা কিনতে হয়েছে পাঁচ হাজার ৪০০ টাকা দিয়ে। এক মাস আগে ৭ কেজির এক কার্টুন লাল আঙুর কিনেছি দুই হাজার ১০০ টাকায়, যা গতকাল কিনতে হয়েছে দুই হাজার ৭০০ টাকায়। ২৫০ টাকা কেজির আনার গতকাল পাইকারিতেই কিনতে হয়েছে ৩৫০ টাকা করে। তাহলে আমরা কত করে বিক্রি করবো। বিদেশি ফলের দাম যা বাড়ে, সেটা আমদানিকারকরাই বাড়ায়।এদিকে ক্রেতারা বলছেন, ফলের দাম বাড়ার পেছনে কারণ যেটাই হোক বা যারাই দোষী হোক, শেষ পর্যন্ত ভুক্তভোগী শুধু সাধারণ মানুষ। সিন্ডিকেট করে ফলের দাম বাড়ানো হচ্ছে বলে মনে করেন তারা।
এদিকে দেশি ফলের দাম তুলনামূলক কিছুটা কম দেখা গেছে। আমের সিজন প্রায় শেষের পথে। বড়জোর আর হয়তো দুই সপ্তাহ পাওয়া যেতে পারে। তাই প্রতি কেজি আশ্বিনী আম বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা, ঝিনুক আম ২০০ থেকে ২৫০, গৌড়মতি আম ২২০ থেকে ২৫০ ও কাটিমন আম ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা। এছাড়া প্রতি কেজি পেয়ারা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ক্যালেন্ডার জাতের আনারস ৩৫ থেকে ৮০, জলডুগি জাতের আনারস ৪৫ থেকে ১০০, আমড়া ৪০ থেকে ৬০, পেঁপে ৭০ থেকে ৯০, দেশি মাল্টা ৮০ থেকে ১০০, জাম্বুরা ৩০ থেকে ১০০, তরমুজ ৬০ থেকে ৭০, আমলকী ২০০ থেকে ৩০০ ও আতা ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস ডাব ৯০ থেকে ১৩০ টাকা, বেল ৬০, তাল ৫০ থেকে ১৫০, কদবেল ৫০, প্রতি ডজন সাগর কলা ৯০, বাংলা কলা ৬০ থেকে ৭০, সরবি কলা ৬০ থেকে ১১০ এবং চিনি চম্পা কলা ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।