মাধবপুরে সরকারি গরু বিতরণে স্বজনপ্রীতি
প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৮:৪৫:৩০ অপরাহ্ন
মাধবপুর প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের মাধবপুরে নোয়াপাড়া চাবাগানে চাশ্রমিকদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সরকারি গরু বিতরণে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে। ইউপি সদস্য দুলাল ঘোষ তার স্বজনদের মধ্যে সরকারি ১২টি গরু বিতরণ করেছে। প্রকৃত উপকার ভোগী চাশ্রমিকদের মধ্যে গরুগুলো বিতরণ না করে নিজেদের মধ্যে ভাগ বন্টন করে নিয়েছে। বিষয়টি নোয়াপাড়া চা শ্রমিকদের মধ্যে জানাজানি হলে চাবাগানে অসন্তোষ দেখা দেয়। চাপের মুখে পড়ে ইউপি সদস্য ও তার লোকজন ৯টি গরু ফেরত দিয়েছে। চাবাগানের সাবেক সভাপতি শ্রাবন সাওতাল ও নিহার রঞ্জন পাত্র জানান, উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস থেকে নোয়াপাড়া চাবাগানে অস্বচ্ছল চাশ্রমিকদের মধ্যে ১২টি গরু বিতরণের কথা। কিন্তু ই্উপি সদস্য দুলাল ঘোষ কাউকে না জানিয়ে গোপনে তালিকা করে তার আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে গরুগুলো বিতরণ করে ফেলে। পরে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর অনিয়মের অভিযোগ এনে বাগানবাসির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হলে মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে ইউএনওর নির্দেশে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ে তদন্ত হয়। তদন্তে গরু বিতরণে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির প্রমান মিলে। পরে সিদ্ধান্ত হয় বিতরণকৃত ১২টি গরু ফেরত দিবে ইউপি সদস্য দুলাল ঘোষ ও তার লোকজন। নোয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ আতাউল মোস্তফা সোহেল বলেন, ইউপি সদস্য দুলাল ঘোষ কাউকে না জানিয়ে গরুগুলো তার স্বজনদের মধ্যে বিতরণ করেছিল। ৯টি গরু ফেরত এনে প্রকৃত উপকার ভোগীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। ইউপি সদস্য দুলাল ঘোষ বলেন, চেয়ারম্যানের মাধ্যমে পুনরায় তালিকা করে আবার বন্টন করা হচ্ছে। মাধবপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আব্দুস সাত্তার বলেন, প্রথমে গরু বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে নতুন তালিকা করে গরু বিতরণ করা হচ্ছে।