দক্ষিণ সুরমায় শিক্ষককে মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৮:৪৫:৫৩ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় অবসরপ্রাপ্ত এক স্কুল শিক্ষককে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ঐ শিক্ষকের পক্ষে সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) কমিশনার ও দক্ষিণ সুরম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ আগস্ট দক্ষিণ সুরমার লালাবাজার ইউনিয়নের হকিয়ারচর গ্রামে মাছুম আলী নামে একজনের পক্ষের এবং আবদাল আহমদ ও জয়নাল আহমদের পক্ষের লোকজনের মধ্যে বাড়ির বাউন্ডারি নিয়ে মারামারি হয়। খবর পেয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিবৃন্দ ও থানাপুলিশের একটি টিম গিয়ে দু’পক্ষকে শান্ত করেন। পরে এ ঘটনায় থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু মাছুম আলী তার মামলায় লালাবাজার ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ‘জাফরাবাদ উচ্চবিদ্যালয় এন্ড কলেজ’র ৪০ বছরের শিক্ষক ও সালিশি ব্যক্তিত্ব আব্দুল কুদ্দুসকে (৬৫) প্রধান আসামি করেছেন। যদিও মারামারির সময় আব্দুল কুদ্দুস ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না।
পুলিশ কমিশনার ও ওসি বরাবরে দেওয়া স্থানীয় গণ্যমান্য বেশ কয়েকজনের স্বাক্ষর-সম্বলিত অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়- আব্দুল কুদ্দুসের বাড়ি হকিয়ারচরে হলেও শিক্ষকতা থেকে অবসর গ্রহণের পর ১১ বছর ধরে তিনি নগরীর টিলাগড় এলাকায় একটি বাসায় পরিবার নিয়ে ভাড়াটে হিসেবে থাকেন। ঘটনার দিন মারামারি থামাতে যাওয়া বর্তমান লালাবাজার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তোয়াজিদুল হক তুহিন ও সাবেক চেয়ারম্যান পীর ফয়জুল হক ইকবালসহ স্থানীয় বর্তমান-সাবেক ইউপি মেম্বার এবং পুলিশ সদস্যরাও আব্দুল কুদ্দুসকে সেখানে উপস্থিত দেখেননি। তবুও গ্রাম্য বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে প্রতিহিংসাবশতঃ সাবেক এই শিক্ষককে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছেন মাছুম আলীর পক্ষ।
এদিকে, গত ১ সেপ্টেম্বর হকিয়ারচর গ্রামে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ‘জাফরাবাদ উচ্চবিদ্যালয় এন্ড কলেজ’র সাবেক শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুসকে ‘মিথ্যা মামলার আসামি’ করায় এ বৈঠকে গ্রামবাসী নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। পাশাপাশি এ মামলা থেকে সাবেক এই শিক্ষকের নাম প্রত্যাহারের দাবি জানান গ্রামবাসী। এছাড়া গ্রামের মুরুব্বিরা গত ২৩ আগস্টের মারামারির ঘটনাকে আপস-মীমাংসার মাধ্যমে সমাধানের উভয় পক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।