মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসে বাংলাদেশ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৬:০৪:৪৯ অপরাহ্ন
মালয়েশিয়া প্রতিনিধি: বিশ্বের বৃহত্তম হালাল শোকেস হিসেবে পরিচিত মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেস। এর ১৯ তম আসরে বিশ্বের অন্যান্য দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করছে।চারদিন ব্যাপী ১৯ তম এ আসরে খাদ্য ও পানীয়, মডেস্ট ফ্যাশন, ই-কর্মাস, ইসলামিক ফিন্যান্স ও ফিনটেকসহ মোট ১৩টি ক্লাস্টারে বিশ্বের ৪০টি দেশের ১০৪০টি প্রতিষ্ঠান ১৮০০টি বুথের মাধ্যমে এই মেলায় অংশগ্রহণ করেছে। বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর সহযোগিতায় এবং মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই মেলায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে ৯টি বুথে মোট ১৬ টি বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। মালয়েশিয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে আয়োজিত মেলাসমূহের মধ্যে এটিতেই বড় পরিসরে বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করছে।
মালয়েশিয়ার মিনিষ্ট্রি অব ইনভেস্টমেন্ট, ট্রেড এন্ড ডেভেলাপমেন্ট কর্পোরেশন, জিইএস মালয়েশিয়া এক্সটারনেল ট্রেড ডেভেলাপমেন্ট কর্পোরেশন (মেট্রেড) এর আয়োজনে মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক ট্রেড এন্ড এক্সিভিশন এ এই মেলা চলবে ১২-১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এই মেলাতে মালয়েশিয়ার হালাল ডেভেলাপমেন্ট কর্পোরেশন বারাহাদ (এইচডিসি) জিইসি ডেভেলাপমেন্ট অব ইসলামিক ডেভেলাপমেন্ট অব মালয়েশিয়া (জেএকেআইএম) সহযোগি সংস্থা হিসেবে কাজ করছে।মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো: গোলাম সরোয়ার বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি প্যাভিলিয়নের বিভিন্ন বুথ পরিদর্শন করেন এবং ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে মালয়েশিয়ায় তাদের পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করেন।
এ সময় মালয়েশিয়া এক্সটারনেল ট্রেড ডেভেলাপমেন্ট কর্পোরেশন এর পরিচালক এস জয়শংকর, আয়োজককারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবর্গ, বাংলাদেশ হাইকমিশনের দূতালয় প্রধান ও কাউন্সিলর (রাজনৈতিক) ফারহানা আহমেদ চৈাধুরী, কাউন্সিলর (রাজনৈতিক) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য, কাউন্সিলর (কনস্যুলার) রাসেল রানা, প্রথম সচিব (প্রেস) সুফি আব্দুল্লাহিল মারুফ, প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) প্রণব কুমার ঘোষ, প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) রেহানা পারভীনসহ হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাসহ প্রবাসী বাংলাদেশীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দাতো শ্রী আনোয়ার ইব্রাহীম এবং উপ-প্রধানমন্ত্রী দাতো শ্রী ড. আহমেদ জাহিদ হামিদি বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন করেন এবং বাংলাদেশের প্রদর্শিত পণ্যসমূহকে সম্ভাবনাময় হিসেবে উল্লেখ করেন।