জালালাবাদে সংবাদ প্রকাশ ঝুঁকিপূর্ণ লাইন সংস্কারে পল্লীবিদ্যুতের তৎপরতা শুরু
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৯:০৩:৫৬ অপরাহ্ন
বড়লেখা প্রতিনিধি: বড়লেখা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পল্লীবিদ্যুতের ঝুঁকিপূর্ণ লাইন সংস্কারে মাঠে নেমেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। শনিবারের দৈনিক জালালাবাদের শেষ পৃষ্ঠায় ‘বড়লেখায় পল্লীবিদ্যুতের ঝুঁকিপুর্ণ লাইন যেন মৃত্যুফাঁদ’ শিরোনামে একটি স্বচিত্র প্রতিবেদন ছাপা হলে টনক নড়ে বড়লেখা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম সুহেলা রানা চৌধুরীর। সকালে তিনি সংশ্লিষ্টদের নিয়ে পত্রিকায় উল্লেখিত স্পটগুলো পরিদর্শণে বের হন। এদিনই মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ উপজেলার দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের উত্তর ঘোলষা এলাকার ৬ হাজার ৩৫০ ভল্টের বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনটি ঝুঁকিমুক্ত করা হয়েছে।
জানা গেছে, দক্ষিণ শাহবাজপুর, বড়লেখা পৌরসভা, বড়লেখা সদর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি জায়গায় ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুতের লাইন ও পিডিবি’র সময়ের জরাজীর্ণ ষ্টীলের খুঁটিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত থাকে। ‘সিঙ্গেল ফেজ হাই ভোল্টেজ এইচটি’ সঞ্চালন লাইন ঝুলে মাটি ছুঁই ছুঁই অবস্থায় থেকে দুর্ঘটনার আশংকা থাকলেও তা সংস্কারে দীর্ঘদিন উদাসীন বড়লেখা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি। অপরদিকে প্রায় ১০ বছর ধরে বড়লেখা পৌর শহরের গাজিটেকা (বাঁশতলা) জামে মসজিদ এলাকায় পল্লীবিদ্যুতের এসপিসি (পাকা) খুঁটির পরিবর্তে পিডিবি’র আমলের জরাজীর্ণ ষ্টীলের খুঁটি দিয়ে এল.টি বেয়ার (খোলা তার) সঞ্চালন লাইন টানানো রয়েছে। পাশপাশি পিডিবি’র আমলের জরাজীর্ণ ষ্টীলের খুঁটি দিয়ে এলটি ডুপ্রেক্স (কভার তার) লাইন দিয়ে ওই এলাকার ব্যবসায়ী নুরুদ্দিন ও মুজিবুর রহমানের বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়। জরাজীর্ণ খুঁটি দিয়ে দীর্ঘদিন থেকে লাইন টানানো থাকলেও তা রক্ষণাবেক্ষণে কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যে কোথাও খুঁটি ভেঙে পড়েছে, কোনটি আবার হেলে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীরা বিদ্যুৎ অফিসে লিখিত অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার পাননি।
বড়লেখা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) সুহেল রানা চৌধুরী শনিবার সন্ধ্যায় জানান, ‘শনিবার সকালেই তিনি এজিএম (কম) ও সহকারি জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারকে নিয়ে বিদ্যুৎ লাইনের ঝুঁিকপূর্ণ এলাকা পরিদর্শণ করেছেন। উত্তর ঘোলষা এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ লাইনের সংস্কার কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন করেছেন। অন্যান্য লাইনগুলারও সমস্যা দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছেন।