নগরে বাড়ছে অপরাধ প্রবণতা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৭:৩১:৩৯ অপরাহ্ন
এক সপ্তাহে ডাকাতি ৩, আট মাসে দস্যুতা ৮, ছিনতাই ৫৬ ও ১৫১ চুরি
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেট নগরীতে ডাকাতি, অপহরণ ও ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়েই চলেছে। দিনে ও রাতে মহানগরীর কোথাও না কোথাও চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতি ঘটনার খবর পাওয়া যাচ্ছে। ডাকাতদের টার্গেট প্রবাসী ও বিত্তবানদের বাড়ি আর ছিনতাইকারীদের টার্গেট ব্যাংক থেকে টাকা তুলে বের হওয়া ব্যক্তি। গত সপ্তাহের ব্যবধানে মহানগরীতে দুটি বাড়িতে ঘটেছে ডাকাতি। এনিয়ে উদ্বিগ্ন নগরবাসী।
এছাড়া তালতলা এলাকা থেকে সৌদি প্রবাসীকে অপহরণ ও বালুচর এলাকা থেকে এক ফ্রিল্যান্সারকে কুপিয়ে তার ১৮ লাখ টাকা ছিনেয়ে নিয়েছে সন্ত্রাসীরা। সর্বশেষ গত শনিবার রাত ৯টার দিকে এয়ারপোর্ট থানাধীন জাতীয় উদ্যানের সামনে এফআইভিডিবির ফিল্ড অফিসার ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন।
এ দিকে চুরি, ছিনতাই, অপহরণ ও ডাকাতিকাণ্ডে আতঙ্কিত মানুষ। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তারা। এসব ঘটনার আসামী গ্রেফতার নেই বললেই চলে। ভয়াবহ এসব ডাকাতির ঘটনায় অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুটের পাশাপাশি ডাকাতরা বাড়ির লোকদের ওপর অমানুষিক নির্যাতনও চালিয়েছে। জানুয়ারী থেকে আগস্ট পর্যন্ত এই আট মাসে পুরো সিলেট মহানগরে দস্যুতা ৮টি, ছিনতাই ৫৬টি ও ১৫১টি চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
সূত্র জানায়, চলতি মাসের ১১ তারিখ দক্ষিণ সুরমা থানাধীন গোপশহর এলাকার খানবাড়িতে ১০ থেকে ১২ জনের একটি ডাকাতদল হানা দেয়। এসময় তারা লুটপাটের পাশাপাশি বাড়ির লোকদের উপর নির্যাতন চালিয়ে তাদের আহত করে। আহত হয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন তিনজন। ডাকাতদের আঘাতে একজনের দাঁত ভেঙ্গে গেছে।
অপর দিকে ১৪ তারিখে গভীর রাতে একই উপজেলার সিলাম এলাকায় টিকরপাড়ায় ঘরের গেইট ভেঙ্গে এক কুয়েত প্রবাসীর বাড়িতে ১০ থেকে ১২ সদস্যের এক ডাকাতদল তান্ডব চালায়। ঘরের মানুষদের বেঁধে অত্যাচার করে একটি টিভিএস মোটরসাইকেলসহ লুট করে নিয়ে যায় নগদ টাকা স্বর্ণালঙ্কার।
একই মাসের ১০ তারিখে নগরীর তালতলা এলাকা থেকে এক সৌদি প্রবাসীকে অপহরণ করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ না দিলে তাকে হত্যার হুমকি দেয়ে অপহরণকারীরা। পরে নগরীর কোয়ারপার এলাকা থেকে ওই সৌদি প্রবাসীকে উদ্ধার করে পুলিশ, তবে এখনও উদ্ধার হয়নি তার খোয়া যাওয়া মোটরসাইকেল ও টাকা। অপর দিকে ১২ তারিখে নগরীর বালুচর এলাকায় এক ফ্রিল্যান্সারের উপর হামলা চালিয়ে ১৮ লাখ টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার আজবাহার আলী শেখ জানান, অনেক সময় অপরাধীরা গ্রেফতার হলেও তারা জামিনে ছাড়া পেয়ে ফের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে চলছে। হঠাৎ করে ডাকাতি ও ছিনতাই বেড়ে যাওয়ার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রতিটি ঘটনার বিশ্লেষণসহ আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। নগরবাসীদের আতঙ্কিত না হওয়ারও আহবান জানান তিনি।