জামালগঞ্জ-কাঠইর রাস্তা এখন মরণ ফাঁদ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৫:৪২:৪৫ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: হাওর বেষ্টিত লক্ষাধিক মানুষের জেলা সদরের সাথে যোগাযোগের একমাত্র ভরসা কাঠইর-জামালগঞ্জ সড়ক। সড়কটিই যেন এখন মরণফাঁদ। এলজিইডি’র আওতাধীন গুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কটি ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। বন্যা পরবর্তীতে সড়ক সংস্কারের অভাবে এখন চলাচলকারীদের কাছে অভিশাপে পরিণত হয়েছে সড়কটি।জামালগঞ্জ-কাঠইর পর্যন্ত এই ৩৫ কিলোমিটার সড়ক এখন ভুক্তভোগীদের মধ্যে আতংকের সড়ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। জেলার কাঠইর, মোহনপুর, শিমুলবাক, সাচনা বাজার ওই চার ইউনিয়নের ৬০ গ্রামের মানুষের জেলা সদরে সাথে যোগাযোগের পুরো সড়কটিই চলাচলের এখন অনুপযোগী। সড়কে চলাচলকারীরা জানান, যানবাহন চলাচল করাতো দূরের কথা, পায়ে চলাচল করাই ঝুঁকিপূর্ণ। পুরো সড়ক ভাংগা, গর্ত, খানাখন্দ। এসব মাড়িয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়তই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন পথচারীরা। প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। চিকিৎসাসেবা গ্রহীতা গর্ভবতী মহিলা ও বয়োবৃদ্ধরা ওই সড়কের নাম শুনলেই ভয় পান।
জামালগঞ্জ-কাঠইর সড়ক ঘুরে দেখা গেছে পুরো সড়কটিই যেন মরণফাঁদএ জামালগঞ্জ থেকে জেলা সদরের মধ্যবর্তী দিরাই সড়কের কাঠইর, উজ্জলপুর-জাল্লাবাজের মধ্যবর্তী ও জাল্লাবাজ-বাহাদুরপুর ব্রীজের উভয়পাশের অংশে ভাঙ্গন। এছাড়াও নতুনপাড়া, শাহপুর, গোলামীপুর, ছোট ঘাগটিয়া, বড় ঘাগটিয়া, উজ্জলপুর, জাল্লাবাজ, বাহাদুরপুর, নোয়াগাঁও বাজার ও রুপাবালি অংশের মূল সড়কের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে অসংখ্য ছোট বড় খানাখন্দ। বিপজ্জনক অবস্থায় বেরিয়ে আছে সড়কটিা রড ও ইট-পাথর। যে কোনো সময় মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। নোয়াগাঁও বাজারের আকবর হোসেন বলেন, এই সড়কে যাতায়াতে আমাদের দুর্ভোগের সীমা নেই।মোহনপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা কালাশা বলেন, সড়কটির অবস্থা খুবই নাজুক। জীবিকার প্রয়োজনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। সড়কটি দ্রুত মেরামতের উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরসহ জনপ্রতিনিধিদের কাছে দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে মোহনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মইনুল হক বলেন, পুরো সড়কটি খানাখন্দে ভরা। চলাচলের অনুপযোগী। জনস্বার্থে সড়কটি দ্রুত মেরামতের দাবি জানাই।সুনামগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব আলম জানান, এলজিইডির আওতাভুক্ত কাঠইর টু জামালগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় ৩৫ কিলোমিটার সড়ক গেল বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যা পরবর্তীতে রাস্তার সংস্কারের জন্য প্রকল্প তৈরি করে উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। ইমার্জেন্সি বাজেট দিয়ে রাস্তার ভাঙ্গা অংশে মেরামত কাজ করছি এবং পরবর্তি কাজ শিগগির শুরু হবে।