১৫ দিনের লাগাতার কর্মসূচি বিএনপির
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৯:৩৬:৫৩ অপরাহ্ন
সিলেটসহ পাঁচ বিভাগে রোডমার্চ, ঢাকায় ১২টি সমাবেশ
জালালাবাদ ডেস্ক : সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করে সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়ার একদফা দাবিতে সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ১৫ দিনের টানা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।আজ অর্থাৎ ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে তেসরা অক্টোবর পর্যন্ত এই কর্মসূচির আওতায় রাজধানী ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, চট্টগ্রাম এবং বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সমাবেশ ও রোড মার্চ করবে দলটি।
ঢাকার গুলশানে দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।বিএনপির এসব কর্মসূচির মধ্যে সমাবেশগুলো মূলত ঢাকা কেন্দ্রিক এবং রোডমার্চের কর্মসূচিগুলো দেশের বিভিন্ন বিভাগে অনুষ্ঠিত হবে।নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিএনপি যে কর্মসূচি দিয়েছে সেটা বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী। সরকার যদি পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটায়, তাহলে বিএনপি’র কৌশলেরও পরিবর্তন ঘটবে।কঠোর কর্মসূচি ছাড়া এমন কর্মসূচিতে কি সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা যাবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান বলেন, বিএনপি লগি-বৈঠার আন্দোলন করবে না। বিএনপি’র আন্দোলন হবে শান্তিপূর্ণ এবং নিয়মতান্ত্রিক।তিনি বলেন, বিএনপি’র দাবির পক্ষে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। সরকারের ইতোমধ্যেই নৈতিক পরাজয় ঘটে গেছে। সুতরাং জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন সরকারই ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না।
বিএনপির কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ এবং গাজীপুর জেলার টঙ্গীতে সমাবেশ। এরপর ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকার যাত্রাবাড়ী ও উত্তরায় সমাবেশ করবে দলটি। ওই দিন সারাদেশে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির জন্য দোয়া আয়োজন করা হবে।সমাবেশের মধ্যে ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার নয়াবাজার ও আমিন বাজার, ২৭ সেপ্টেম্বর গাবতলি এবং নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাকায় মহিলা সমাবেশ, ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকায় পেশাজীবী কনভেনশন, ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকায় শ্রমজীবী কনভেনশন এবং দোসরা অক্টোবর ঢাকায় কৃষক সমাবেশ করবে বিএনপি।এর বাইরে ২১ সেপ্টেম্বর সিলেট বিভাগ, ২৩ সেপ্টেম্বর বরিশাল বিভাগ, ২৬ সেপ্টেম্বর খুলনা বিভাগে, পহেলা অক্টোবর ময়মনসিংহ এবং ৩ অক্টোবর চট্টগ্রামে বিভাগে রোড মার্চ করবে দলটি।সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আন্দোলন কখন, কোনদিকে রূপ নেবে, সেটা রাস্তাই বলে দেবে। জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন সরকার টিকে থাকতে পারে না। এই সরকারও পারবে না।সংবাদ সম্মেলনে নতুন কর্মসূচি ছাড়াও খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি, বিএনপির দুইজন সাবেক নেতার অন্য একটি দলে যোগদানসহ নানা প্রসঙ্গ উঠে আসে।খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে আলমগীর বলেন, তিনি এখন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন। জীবন রক্ষায় তার বিদেশে চিকিৎসা প্রয়োজন। সরকারের উদ্দেশ্য তিনি বলেছেন, জীবন রক্ষায় তাকে মুক্তি দিন, যেন তিনি বিদেশে চিকিৎসা নিতে পারেন। অন্যথায় যে কোন উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য সরকারকেই দায় নিতে হবে।
বাংলাদেশে ২০১৪ সালের পাঁচই জানুয়ারির একতরফা সাধারণ নির্বাচনের পর থেকে রাজপথে অনেকটা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়লেও, গত এক বছরের বেশি সময় ধরে বিএনপি নানা ধরণের কর্মসূচী পালন করে আসছে।গত বছর মানে ২০২২ সালের ২২শে অগাস্ট থেকে দেশব্যাপী নানা ধরণের সমন্বিত কর্মসূচী শুরু হয় বিএনপির।জ্বালানি তেল ও নিত্য-পণ্যের দাম বৃদ্ধি নিয়ে এই কর্মসূচী শুরু হয়েছিল। সে বছরের সেপ্টেম্বরে দলটি দেশে ১০টি বিভাগীয় শহরের সবকটিতে বিভাগীয় সমাবেশের ডাক দেয়।