দোয়ারায় কমিউনিটি আই সেন্টার স্থাপন
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৫:৫৫:৪৩ অপরাহ্ন
দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি: ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় বিনামূল্যে সমন্বিত উন্নত চক্ষু চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সংযুক্ত হয়েছে কমিউনিটি আই সেন্টার।
এটি জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচির আওতায় ন্যাশনাল আই কেয়ার অপারেশনাল প্লানের একটি কার্যক্রম। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কমিউনিটি আই সেন্টার স্থাপিত হওয়ায় এই অঞ্চলের চক্ষু সমস্যাজনিত জনগোষ্ঠীর সহজেই চিকিৎসা সেবা পাওয়ার দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে।
দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কমিউনিটি ভিশন সেন্টার সূত্রে জানা যায়, এখনো এটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা না হলেও গত ২১ আগস্ট থেকে এর চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে এখান থেকে ১৭৫ জন চক্ষু রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। তন্মধ্যে চলতি মাসেই ১১১ জন রোগী বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন।
কমিউনিটি আই সেন্টারের সিনিয়র স্টাফ নার্স হামিদা আক্তার ও ভিক্টোরিয়া মারাক জানান, আমরা ঢাকায় জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনষ্টিটিউট ও হাসপাতাল থেকে চক্ষু চিকিৎসার উপর তিনমাস বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে কমিউনিটি ভিশন সেন্টার চালুর করার পর থেকেই এখানে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছি। প্রতিদিনই সেবা নিতে রোগীরা আসছেন হাসপাতালে।
দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবু সালেহীন খান বলেন, সরকারের দেশের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের দোরগোড়ায় আধুনিক চক্ষু চিকিৎসা সেবা পৌছে দেওয়ার অংশ হিসেবে সুনামগঞ্জ -৫ আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক এর প্রচেষ্টায় দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কমিউনিটি আই সেন্টার স্থাপিত হয়েছে। এটি একটি স্বতন্ত্র চক্ষু চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র। যেখানে কর্মরত দুজন সিনিয়র স্টাফ সেবিকা উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে বেজ হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞের কাছে রোগীর যাবতীয় তথ্য পাঠান এবং রোগীর সঙ্গে বিশেষজ্ঞকে সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত করে আধুনিক চক্ষু চিকিৎসা সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করে থাকেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কমিউনিটি আই সেন্টার স্থাপিত হওয়ার পর থেকে প্রতিদিনই চক্ষু রোগীরা সেবা নিতে ভীড় জমাচ্ছেন এবং বিনামূল্যে ওষুধ সামগ্রী ও চশমাসহ চক্ষুসেবা নিচ্ছেন।