ইমরান আহমদ কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ- সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৯:২১:৩৬ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : জৈন্তাপুর উপজেলার ইমরান আহমদ সরকারি মহিলা কলেজ অধ্যক্ষ ড. এনামুল হক সরদারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানিয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার সিলেট প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগের বিস্তারিত তুলে ধরেন জনৈক মিজু আহমদ লুলু।
এ সময় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভার কার্যবিবরণীতে প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকায় ইমরান আহমদ সরকারী মহিলা কলেজ-এর অধ্যক্ষ পদে এনামুল হক সরদার এর নিয়োগ বৈধ হয় নাই। অথচ কলেজ পরিচালনা করে আসছেন এবং সরকারের বেতন-ভাতাসহ সকল সুবিধা ভোগ করে আসছেন।
লুলু অভিযোগ করেন, কলেজটি সরকারীকরণের পর কলেজের ফাইল মন্ত্রণালয়ে উপস্থাপিত হলে অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতা না থাকায় অধ্যক্ষ পদ থেকে তাকে বাদ দেওয়া হয় এবং কলেজের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। কিন্তু এরপরও তিনি অধ্যক্ষ পদবী ব্যবহার করে কলেজ থেকে বিভিন্ন ধরনের আর্থিক সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন।
তিনি বলেন, অধ্যক্ষ পদে প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা, যোগ্যতা ও এম.পিও এর মূলকপি না থাকায় এনামুল হক সর্দারকে নিয়োগ যথাযথ নয় বলে গত ৫/৩/২০২০ইং তারিখে সচিবালয়ে ৮০টি পদ সৃজন সংক্রান্ত ৭ জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত সভার কার্যবিবরণীতে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে।
লুলু বলেন, এমতাবস্থায় এনামুল হক সরদারের জালিয়াতি ও অনিয়ম এর বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানিয়ে গত ২ আগষ্ট সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষামন্ত্রণালয় বরাবরে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। এর প্রেক্ষিতে গত ১৪ আগষ্ট মন্ত্রণালয় হতে উক্ত অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু অদৃশ্য কারণে এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়নি।
এদিকে সর্বশেষ গত ১১ সেপ্টেম্বর সরেজমিন তদন্তপূর্বক মতামতসহ তদন্ত প্রতিবেদন অধিদপ্তর বরাবরে দাখিলের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকা সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। উক্ত কমিটিকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। এই তদন্ত কার্যক্রম এখনো চলমান রয়েছে।