গলায় ‘বাল্বের মালা’ ঝুলিয়ে লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদ
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৮:৩৫:৪০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : বৈদ্যুতিক বাল্ব সুতায় বেঁধে মালা আকারে গলায় ঝোলানো। হাতে একটি প্লে-কার্ড। তাতে লেখা ‘সিলেট মহানগরীতে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে প্রতিবাদে গলায় বাল্বের মালা দিয়ে পদযাত্রা’। নিচে লেখা মোহাম্মদ এহছানুল হক তাহের।
মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদ জানাতে নগরের বিভিন্ন সড়কে এভাবেই পদযাত্রা করেছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সিলেট কল্যাণ সংস্থা, বিভাগ যুব কল্যাণ সংস্থা ও প্রবাসী কল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোহাম্মদ এহছানুল হক।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে তিনি নগরের সুরমা মোড় এলাকা থেকে পদযাত্রা শুরু করেন। তিনি সুরমা মোড় থেকে বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা আম্বরখানা ঘুরে নগরের ইলেকট্রিক সাপ্লাই এলাকার বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) সিলেট বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ এর কার্যালয়ের সামনে যান। সেখানেই তিনি দুপুর ১২টার দিকে পদযাত্রাটি শেষ করেন। তাকে সড়কে এমন অবস্থায় দেখে অনেকে কৌত‚হলী হন। পাশে গিয়ে অনেকে ছবি তুলেছেন।
মোহাম্মদ এহছানুল হক বলেন, লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে তিনি এমন প্রতিবাদ জানাতে বাধ্য হয়েছেন। নিজের ইচ্ছাতেই তিনি একক উদ্যোগে এমন প্রতিবাদ জানিয়েছেন। অনেকে এমন প্রতিবাদকে অভিনব বললেও বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন, কোনো এলাকায় এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাকে উপেক্ষা করে বিদ্যুৎ বিভাগের কিছু কর্মকর্তা দিনের মধ্যে ১০-১২ ঘণ্টা লোডশেডিং করছেন। এভাবে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে কি না, সেটি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। ভ্যাপসা গরমে লোডশেডিংয়ে টিকে থাকা দুঃসাধ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সিলেট নগরে প্রায় এক মাস ধরে মাত্রাতিরিক্ত ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে। একদিকে প্রচÐ গরম আর অন্য দিকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। প্রচণ্ড গরমে সাধারণ মানুষ নাজেহাল। এর মধ্যে দিনে ও রাতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১০-১২ ঘণ্টা লোডশেডিং হয়। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের ফলে সব ধরনের কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। সকাল, দুপুর, বিকেল এমনকি মধ্যরাতেও হচ্ছে লোডশেডিং। ফলে নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে মানুষকে। সিলেটে গড়ে ৫ থেকে ৮ ঘণ্টা করে লোডশেডিং হচ্ছে। লোডশেডিংয়ের ভয়াবহ অবস্থা থেকে বিদ্যুৎ অফিসের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। তা না হলে সিলেটবাসী কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।