অবশেষে শিশু টিকার সরবরাহ স্বাভাবিক
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৮:১৪:৩৪ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : ১ মাসেরও বেশী সময় পরে অবশেষে সিলেটে নবজাতক থেকে শুরু করে ৫বছর বয়সী শিশু টিকার সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে। গত মঙ্গলবার টিকার চালান সিলেটে এসে পৌঁছলে বুধবার নগর এলাকা থেকে শুরু করে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে টিকা পাঠানো হয়েছে বলে সিলেট সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে।
উল্লেখ্য- সিলেটে শিশু টিকার সংকট নিয়ে গত সোমবার দৈনিক জালালাবাদে সংবাদ প্রকাশিত হয়। মঙ্গলবার সিলেটে থেকে যোগাযোগের পর ঢাকা থেকে টিকার চালান সিলেটে পাঠানো হলে বুধবার থেকে সেসব টিকা ইপিআই টিকাদান কেন্দ্রসহ সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কমিউনিটি ক্লিনিকে সরবরাহ করা হয়েছে। এখন থেকে সব ধরনের টিকার সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে।
সিলেট সিভিল সার্জন অফিসের জেলা ইপিআই সুপারিনটেনডেন্ট অভিজিৎ ভট্টাচার্য্য দৈনিক জালালাবাদকে এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সিলেটে কিছুদিন শিশু টিকার সংকট ছিল। তবে বুধবার থেকে সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। সকল ইপিআই কেন্দ্রে ইতোমধ্যে টিকা পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, সিলেটে ২ মাস ধরে শিশুদের টিকা সংকট চলছিল। বিশেষ করে পিসিভি ও পেন্টা টিকার মারাত্মক সংকট ছিল। বাচ্চার বয়স ৪২ দিন পার হলেও এই দুটি টিকা দিতে হয়। কিন্তু অনেকের বাচ্চার বয়স ২ মাস পেরিয়ে গেলেও কোন টিকাদান কেন্দ্রে টিকা পাওয়া যায়নি। সরবরাহ না থাকায় সময়মতো টিকা দিতে না পারায় শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে অভিভাবকদের মাঝে শঙ্কা বিরাজ করেছিল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) আওতায় জন্মের পর থেকে ২৩ মাস বয়সের মধ্যে ১০টি বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক হিসেবে শিশুদের ৭ ধরনের টিকা দেওয়া হয়। টিকাগুলো হলো বিসিজি, ওপিডি বা পোলিও, আইপিভি, পিসিভি, পেন্টা ভ্যালেন্ট, এমআর-১ ও এমআর-২। কিন্তু গত জুলাই মাস থেকে সিলেটে পিসিভি, পেন্টা ভ্যালেন্ট টিকা পাওয়া যাচ্ছিল না। বাকী টিকাগুলোরও স্টক প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল। অবশেষে টিকার সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ায় অভিভাবকগণ চিন্তামুক্ত হয়েছেন।
এ ব্যাপারে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম দৈনিক জালালাবাদকে বলেন, ১ মাসেরও বেশী সময় ধরে নগরীর ইপিআই টিকাদান কেন্দ্রে সবধরনের টিকার সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছিল। এরমধ্যে পিসিভি ও পেন্টা টিকার চাহিদা বেশী ছিল। তবে বুধবার আমরা টিকা পেয়েছি। ইতোমধ্যে সকল কেন্দ্রে টিকা সরবরাহ করা হয়েছে। যাদের প্রয়োজন রয়েছে তারা কেন্দ্রে গেলে টিকা পেতে আর সমস্যা হবেনা।