স্মার্টফোনের তথ্য সুরক্ষা নিয়ে শঙ্কায় ৯৭ শতাংশ বাংলাদেশী
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৮:৫৪:৫৩ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক : স্মার্টফোনে আয়ের নতুন উৎস খুঁজে পাওয়ার ব্যাপারে দেশের ৫৭ শতাংশ মানুষ আশাবাদী, যা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয়। এ ছাড়া দেশের ৯৭ শতাংশ মানুষ স্মার্টফোনে তাদের তথ্য সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত থাকেন। সম্প্রতি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে গবেষণা চালিয়ে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
গবেষণাটি করেছে এশিয়ার অন্যতম শীর্ষ টেলকো-টেক প্রতিষ্ঠান এবং গ্রামীণফোনের প্রধান বিনিয়োগকারী টেলিনর এশিয়া। বুধবার ‘বিল্ডিং বেটার ডিজিটাল লাইভস ফর এ স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে গবেষণার বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এশিয়ার আটটি দেশ- বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইনস, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের আট হাজারেরও বেশি ব্যক্তির তথ্য যাচাই করা হয়েছে। গবেষণার মূল লক্ষ্য ছিলÑ মোবাইল কানেক্টিভিটির প্রসঙ্গে অংশগ্রহণকারীদের মনোভাব ও আচরণ বিশ্লেষণ করা। সেই সঙ্গে কীভাবে এটি এশিয়া অঞ্চলের জীবনযাত্রা, পেশা ও বিনোদনকে প্রভাবিত করছে, তা অনুসন্ধান করা। অংশগ্রহণকারীদের লিঙ্গ এবং বয়সের ভিত্তিতে ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন বলেন, ‘বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষের সংযোগের জন্য ডিজিটাল অবকাঠামো মৌলিক। সুতরাং, আমাদের সম্মিলিত অগ্রাধিকার হওয়া উচিত স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১-এর রূপকল্প বাস্তবায়নের জন্য ব্রডব্যান্ডের বিপুল শক্তি ও সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো। সেই সঙ্গে, আরো বেশি সংখ্যক মানুষকে তথ্যপ্রযুক্তি সুবিধার আওতায় নিয়ে আসা এবং এর মাধ্যমে দক্ষতার বিকাশ ঘটিয়ে জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ঘটাতে পারে, সেই লক্ষ্যে আমাদের কাজ করতে হবে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যের পর টেলিনর এশিয়ার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং হেড অব এক্সটারনাল রিলেশনস মনীষা ডোগরার সঞ্চলনায় প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে টেলিনর এশিয়ার ‘ডিজিটাল লাইভস ডিকোডেড’ শীর্ষক রিপোর্টটি তুলে ধরা হয়। রিপোর্টটিতে সামাজিক রূপান্তর, কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি এবং নতুন সম্ভাবনার বিকাশে মোবাইল সংযোগের কার্যকারীতা প্রসঙ্গে এশিয়ার ৮টি দেশের ৮ হাজারেরও বেশি ব্যক্তির উপর পরিচালিত জরিপ থেকে প্রাপ্ত তথ্য-প্রমাণাদি উপস্থাপিত হয়েছে।
এ সময় গ্রামীণফোনের চিফ বিজনেস অফিসার ড. আসিফ নাইমুর রশিদসহ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও আইসিটি বিভাগের উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিবৃন্দ এবং অন্যান্য শিল্পনেতারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথি বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশনস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. এহসানুল কবির।
টেলিনর এশিয়া ডিজিটাল লাইভস ডিকোডেড রিপোর্টের তিনটি অধ্যায়ে এশিয়ার ৮টি দেশ (বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইনস, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম) থেকে ৮ হাজারেরও বেশি ব্যক্তির তথ্য যাচাই করা হয়েছে। এই প্রকাশনাটির লক্ষ্য মূলত মোবাইল কানেক্টিভিটির প্রসঙ্গে অংশগ্রহণকারীদের মনোভাব ও আচরণ বিশ্লেষণ করা এবং কীভাবে এটি এশিয়া অঞ্চলে জনগণের জীবনযাত্রা, পেশা ও বিনোদনকে প্রভাবিত করছে, তা অনুসন্ধান করা।