২০ দিনে রিজার্ভ কমেছে ১৬২ কোটি ডলার
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৮:৪৭:০৭ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক : চলতি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম ২০ দিনে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১ দশমিক ৬২ বিলিয়ন বা ১৬২ কোটি মার্কিন ডলার কমেছে। এর কারণে এখন রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৪৫ কোটি ডলার।বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে রিজার্ভ কমার এই চিত্র দেখা যায়। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এই প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ৩১ আগস্ট রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৩০৬ কোটি ৯৫ লাখ ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের বড় দুই উৎসের একটি প্রবাসী আয় ব্যাংক মাধ্যমে আসা কমেছে। গত দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) দেশে প্রবাসী আয় আসা সাড়ে ১৩ শতাংশ কমেছে। এ ছাড়া চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) জুলাই-আগস্ট সময়ের আমদানির দায় বাবদ ১৩১ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছে। অন্যদিকে, রিজার্ভ থেকে বাজারে ডলার বিক্রি করাও হচ্ছে। এসব কারণেই মূলত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে।
বিভিন্ন খাতে শর্ত পূরণের লক্ষ্য নির্দিষ্ট করে দিয়ে আইএমএফ ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করে গত জানুয়ারি মাসের শেষে। এই ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার ডলার গত ফেব্রুয়ারিতে পেয়েছে বাংলাদেশ।আইএমএফের ঋণের বিভিন্ন শর্তের মধ্যে একটি ছিল, গত জুনের মধ্যে রিজার্ভের মজুত হিসাবপদ্ধতি বিপিএম ৬ অনুযায়ী শুরু করতে হবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বচ্ছতা ও রিপোর্টিংয়ের মান বাড়ানোই ছিল উদ্দেশ্য। আরও শর্ত ছিল, রিজার্ভ থেকে গঠন করা রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) বাদ দিতে হবে।
এ ছাড়া প্রকৃত রিজার্ভের হিসাব করতে রিজার্ভের অর্থে গঠন করা লং টার্ম ফান্ড (এলটিএফ) ও গ্রিন ট্রান্সফরমেশন ফান্ড (জিটিএফ), বাংলাদেশ বিমানকে উড়োজাহাজ কিনতে সোনালী ব্যাংককে রিজার্ভ থেকে দেওয়া অর্থ এবং পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের খনন কর্মসূচিতে রিজার্ভ থেকে দেওয়া অর্থ বাদ দিতে হবে।আইএমএফের হিসাবপদ্ধতি বিপিএম ৬ অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ ২ হাজার ১৪৫ কোটি ডলারে নেমেছে। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব হিসাবপদ্ধতি অনুযায়ী, বর্তমানে রিজার্ভ ২ হাজার ৭৩৩ কোটি ৮০ লাখ ডলার, যা গত মাস শেষে ছিল ২ হাজার ৯২০ কোটি ৬১ লাখ ডলার। যদিও ২০২১ সালে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ৪৮ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলারে উঠেছিল।