৫ কারণে সড়কে দুর্ঘটনার ঝুঁকি
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১:২৮:৩২ অপরাহ্ন
৮ মাসে ঝরল ৩৩১৭ প্রাণ
জালালাবাদ রিপোর্ট : চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ হাজার ৩১৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন ৫ হাজার ১৭২ জন। আর এসব সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁিক ৫ কারণে।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হল রুমে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)-এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন এ তথ্য জানান। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) হিসেবে এ তথ্য জানান তিনি।
এদিকে, সড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখা ও মৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে নতুন সড়ক নিরাপত্তা আইনের দাবি জানিয়েছে রোড সেফটি কোয়ালিশন বাংলাদেশ। নিরাপদ সড়কের দাবিতে কাজ করা সংগঠনগুলোর এই জোট বলছে, সড়ক দুর্ঘটনায় আচরণগত কারণে পাঁচটি মূল ঝুঁকি আছে। অতিরিক্ত গতি, মানসম্মত হেলমেট ব্যবহার না করা, সিটবেল্ট ব্যবহার না করা, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো ও শিশুদের জন্য নিরাপদ আসনের অনুপস্থিতি। এসব আচরণগত বিষয় বিবেচনায় নিয়ে নিরাপদ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে যথাযথ আইন ও নীতিমালা করা হলে সড়ক নিরাপদ হবে বলে মনে করছে তারা। সংগঠনের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইলিয়াস কাঞ্চন।
লিখিত বক্তব্যে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, জাতিসংঘ স্বীকৃত ‘সেইফ সিস্টেম অ্যাপ্রোচ’র সমন্বয়ে একটি পৃথক সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করলে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের সহযোগিতায় গৃহীত ‘বাংলাদেশ রোড সেইফটি’ প্রকল্পে ‘সেইফ সিস্টেম অ্যাপ্রোচ’র কিছু ব্যবহার শুরু হয়েছে। আমরা এই বিজ্ঞানভিত্তিক প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাই। একইসঙ্গে সেইফ সিস্টেম এপ্রোচের আলোকে নিরাপদ সড়কের জন্য আলাদা আইনি কাঠামোর জোর দাবি জানাই।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, পথচারীদের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বাংলাদেশের সড়ক। প্রায় প্রতিদিনই তারা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। বিআরটিএ বলছে, এ বছরের প্রথম ৮ মাসে ৩ হাজার ৫৬২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ হাজার ৩১৭ জন মারা গেছেন। এতে আহত হয়েছেন, ৫ হাজার ১৭২ জন। তবে দেশে সড়ক দুর্ঘটনার হিসাব বিজ্ঞানসম্মতভাবে তৈরি করা হয় না। বাংলাদেশ পুলিশের হিসাবে গত বছর ৫ হাজার ৮৯টি দুর্ঘটনায় ৫ হাজার ৬৩৬ জন মারা গেছেন। আর নিরাপদ সড়ক চাই-এর হিসাবে, একই সময়ে ৭ হাজার ২৪টি দুর্ঘটনায় ৮ হাজার ১০৪ জন মারা গেছেন। অবকাঠামোগত উন্নয়নের পরও কোনোভাবেই সড়ক দুর্ঘটনার হার নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, বর্তমান সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ ও সড়ক পরিবহন বিধিমালা-২০২২ মূলত সড়কে পরিবহনের জন্য আইন এবং সড়ক পরিবহনব্যবস্থা–সংক্রান্ত বিধিমালা। তাই নিরাপদ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে (সেইফ সিস্টেম অ্যাপ্রোচ) নতুন আইন করা জরুরি।