ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণ একে একে নিভে গেল ৬ প্রাণ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৭:৪৫:৫৬ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: সিলেট নগরের পূর্ব মিরাবাজার বিরতি সিএনজি ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ ৯ জনের মধ্যে একে একে নিভে গেল ৬ তাজা প্রাণ। এবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলেন মিনহাজ উদ্দিন আকন্দ (২৫) নামে আরেক যুবক। বুধবার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।মিনহাজ সিলেট কোতোয়ালি থানাধীন এলাকার আলাউদ্দিন আকন্দের ছেলে। তিনি বিরতি সিএনজি ফিলিং স্টেশনে কর্মরত ছিলেন। তার স্ত্রী ও দুই বছরের এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এ নিয়ে অগ্নিদগ্ধ ৯ জনের ছয়জনই মারা গেছেন। বুধবার মারা যাওয়া মিনহাজ উদ্দিনের শরীর আগুনে ৪৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এ ঘটনায় আরও তিনজন চিকিৎসাধীন।মিনজাহের চাচা জসিম উদ্দিন আকন্দ বলেন, সরকার এতো টাকা-পয়সা খরচ করে আগুনে দগ্ধদের চিকিৎসার জন্য বার্ন হাসপাতাল বানিয়েছে। কিন্তু চিকিৎসকরা কোনো রোগীকে বাঁচাতে পারছেন না। একের পর এক আমাদের ৬জন তরতাজা মানুষের প্রাণ গেল।
গত ২১ সেপ্টেম্বর রাত দেড়টার দিকে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সিলেট নগরের পশ্চিম পীরমহল্লা ঐক্যতান ২১৫/৩ বাসার মৃত মুজিবুর রহমানের ছেলে বিরতি সিএনজি ফিলিং স্টেশনের শিফট ম্যানেজার নজরুল ইসলাম মুহিন (২৫)। এছাড়া ১৮ সেপ্টেম্বর একই হাসপাতালে দগ্ধ আরও ২ জন মারা যান। তারা হলেন, সিলেট সদর উপজেলার জাঙ্গাঈল গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে তারেক আহমদ (৩২) ও সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার কাদিরগাওয়ের অর্জুন দাসের ছেলে বাদল দাস (৪০)। এরও আগে ১১ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেট বিমানবন্দর থানার কোরবানটিলা এলাকার বাসিন্দা রুমেল সিদ্দিক এবং পরদিন ১২ সেপ্টেম্বর বিকেলে টুকেরবাজার এলাকার ইমন আহমদ (৩২) একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।গত ৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটের দিকে নগরের পূর্ব মিরাবাজার বিরতি সিএনজি ফিলিং স্টেশনের জেনারেটর কক্ষে বিস্ফোরণের ঘটে। এতে ৯ জন দগ্ধ হন। দগ্ধদের মধ্যে ম্যানেজারসহ ৭ জন সিএনজি ফিলিং স্টেশনে কাজ করতেন এবং দুই জন পথচারীও রয়েছেন। তাৎক্ষণিক আহতদের উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন ৬ সেপ্টেম্বর দগ্ধ সকলকে ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।
অগ্নিদগ্ধদের মধ্যে এখনও চিকিৎসাধীন- সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুরের জাবেদ আহমদের ছেলে রিপন আহমদ (২৪), একই গ্রামের লুৎফুর রহমান (৩০) ও জালালাবাদ নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকার আরশ আলীর ছেলে রুমান (২৩)।