সবজি বাজারে নাস্তানাবুদ ক্রেতা
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৯:১৪:৩৯ অপরাহ্ন
জালালাবাদ রিপোর্ট : দীর্ঘদিন ধরেই নিত্যপণ্য, কাঁচাবাজার, মাছ-মাংস, এমনকি মসলাজাত পণ্যের দামে বেড়েছে অস্বস্তি। বিভিন্ন সময় নানা পণ্যের দাম কিছুটা ওঠানামা করলেও বাজার ছুটছে ঊর্ধ্বমুখী। সপ্তাহের ব্যবধানে আগাম কিছু শীতকালীন সবজি বাজারে আসতে শুরু করলেও দাম যেন আকাশছোঁয়া। এর মধ্যে শিম প্রতি কেজি ২০০ টাকা, যা এক কেজি ফার্মের মুরগির চেয়েও বেশি।শুক্রবার নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ন্যূনতম ৫০-৬০ টাকার কমে তেমন কোনো সবজি মিলছে না। শুধু পেঁপে আর মিষ্টি কুমড়ার কেজি একটু কম। বেশিরভাগ সবজির দামই চড়া।
শীতকালীন সবজির মধ্যে প্রতি কেজি শিম ২০০ টাকা, মূলা ৬০-৭০ টাকা ও টমেটো ১০০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম ৬০ টাকা, স্থানভেদে বেশিও বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লাউয়ের দামও চড়া।এদিকে, আলু ৫০-৫৫ টাকা কেজি, বরবটি ৮০ টাকা, গোল বেগুন ৬০-৭০ টাকা, লম্বা বেগুন ৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৬০, পটল ৬০, ঝিঙা ৮০ ও কচুর লতি ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।গাজর প্রতি কেজি ১২০ টাকা, প্রতি পিস জালি ৬০ টাকা ও লাউ প্রতি পিস ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মূলা প্রতি কেজি ৫০-৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০-৭০ টাকা, কচুর মুখি ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে কাঁচা কলা প্রতি হালি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
নগরীর রিকাবীবাজারে কথা হয় ক্রেতা আরমান মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, বাজারে কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। সবজিতেও এখন হাত দেওয়া যায় না। মুরগির চেয়ে বেশি দামে শিম কিনে খাচ্ছি। একেবারে কম হলেও ৫০-৬০ টাকার নিচে কিছু নেই। বাজারে এলে অনেকটা হতাশ হয়ে ফিরে যেতে হয়।সবজি বিক্রেতা রমজান বলেন, শীতের সবজি বাজারে এলেও চাহিদার অনুপাতে তা খুব কম। ক্রেতাদের চাহিদামতো কিনতে পারছি না। বাধ্য হয়েই একটু বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। আরেক বিক্রেতা জানালেন, সার ও কীটনাশকের দাম অনেক বেশি, পাশাপাশি শ্রমিক মজুরিও অনেক। যার ফলে কৃষক পর্যায় থেকেই অনেকতা বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।
অপরদিকে সম্প্রতি ডিমের দাম হঠাৎ করে বেড়ে যায়। ডজনে দাম হয়ে গিয়েছিল ১৮৫ টাকা, যা এ যাবতকালের সর্বোচ্চ। তবে বর্তমানে প্রতি কেজিতে ফার্মের মুরগির ডিম হালিতে বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকা। এছাড়া হাসের ডিমের হালি ৬৫-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, স্থানভেদে ২২০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে। বড় ও মাঝারি তেলাপিয়া ২৩০ টাকা থেকে ২৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এক কেজির রুই-কাতলার দাম হাঁকানো হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকা কেজি। দুই থেকে আড়াই কেজি ওজনের রুই-কাতলার মাছের দাম প্রতি কেজি ৩৭৫ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া স্থানভেদে শোল মাছ প্রতি কেজি ৬০০-৬৫০ টাকা এবং শিং মাছ ও বাইলা মাছ প্রতি কেজি প্রকারভেদে ৬০০-৬৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, মাংসের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগির দাম ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি। এছাড়া বাড়তি আছে লেয়ার মুরগিও দাম, যা কেজিতে ৩৪০-৩৫০ টাকা। এছাড়া পাকিস্তানি মুরগি ৩৪০-৩৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
অপরদিকে দেশি মুরগি কিনতে কেজিতে খরচ হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা। কিছু স্থানে ৭০০ টাকাও বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গরুর মাংস ৮০০ টাকা, খাসির মাংস ১১০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। স্থানভেদে কম-বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।