লেমন গার্ডেনে পর্যটক খুন : প্রধান আসামী র্যাবের খাঁচায়
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৭:৪১:২১ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় লেমন গার্ডেন রিসোর্টে পর্যটক খুনের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করেছেন র্যাব। শনিবার বিকেল ৪টায় র্যাব-৯ এর মিডিয়া অফিসার আব্দুল্লাহ আল নোমান সাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেফতার ব্যক্তির নাম ওসমান গনি (৩৪)। তিনি কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ থানার বচইড় (খলিল বাড়ী) এলাকার মো: ইসমাইল মিয়ার ছেলে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে গাজীপুর জেলার শ্রীপুরের ধলাদিয়া বাজার এলাকায় র্যাব-৯ ও র্যাব-১ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
র্যাব-৯ এর মিডিয়া শাখা জানায়, গত ২৫ আগস্ট সকালের দিকে ঢাকার ভাটারা থেকে এসে নুরুল আমিন রাব্বি, শরীফুল ইসলাম ও অজ্ঞাতনামা আরো দুজন পর্যটক শ্রীমঙ্গলের লেমন গার্ডেন রিসোর্টের বৃষ্টি বিলাশ কটেজের ৫ নম্বর কক্ষে উঠেন। ২৭ আগস্ট দুপুরে রিসোর্টের স্টাফরা রুম চেকিং করতে গেলে রুমটি তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখে গেস্টদের ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শরীফুল ইসলাম (৪০) নামের পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার করে। তার মাথা পেছন দিক থেকে থেঁতলানো ছিলো। কাঠ দিয়ে শরীফুলের মাথায় আঘাত করেছিলো ঘাতকরা। এতে মাথার মগজ বেরিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শাহরিয়ার আক্তার মুন্নী বাদী হয়ে শ্রীমঙ্গল থানায় মামলা দায়ের করেন।
এদিকে ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হয়। সেই প্রেক্ষিতে ঘটনার মূল আসামীদের গ্রেফতার করতে ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ায় র্যাব। সে ধারাবাহিকতা শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় প্রধান আসামী ওসমান গনিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র্যাব। পরে আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এরআগে ১ সেপ্টেম্বর পর্যটক হত্যার ঘটনায় শান্ত ঘোষ (২৪) নামে এক ব্যক্তিকে শ্রীমঙ্গলের কাকিয়াছড়া থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সে ওই এলাকার কাশিনাথ ঘোষের ছেলে।
জিজ্ঞাসাবাদে শান্ত পুলিশকে জানান, তিনি শ্রীমঙ্গল গ্রান্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফে চাকরি করেন। আগে একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন হত্যায় সরাসরি জড়িত রাব্বি। রাব্বিই শান্তকে লেমন গার্ডেন রিসোর্টে নিয়ে আসেন। ২৬ আগস্ট সন্ধ্যায় খাওয়া-দাওয়া শেষে তারা মদ পান করেন। এ সময় শরিফুল তাদের মদ খেতে নিষেধ করেন এবং একপর্যায়ে তার পা লেগে মদের বোতল ভেঙে যায়। এতে তাদের মধ্যে চরম বাগবিণ্ড হয়। একপর্যায়ে রাব্বিসহ তার অন্য দুই বন্ধু রিসোর্টের নিচ থেকে কাঠের বর্গা এনে শরিফুলের মাথায় আঘাত করে খুন করেন। শান্ত পুলিশের কাছে স্বীকার করেন, তিনি তাদের মদের বোতল ও গাঁজা সরবরাহ করেন।