সিলেটে ‘সাবধানে অনলাইনে’ শীর্ষক প্রাণবন্ত সেমিনার
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ৭:৫৫:২৫ অপরাহ্ন
টিকটক ও জাগো ফাউন্ডেশনের উদ্যোগ
স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশে অনলাইন নিরাপত্তা বিষয়ে যুবসমাজের মাঝে সচেতনতা বিস্তারের লক্ষ্যে টিকটক ও জাগো ফাউন্ডেশন এর যৌথ উদ্যোগে ‘সাবধানে অনলাইন-এ’ শীর্ষক প্রাণবন্ত সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নগরের একটি অভিজাত হোটেলে হোটেলে প্রায় ১০০ অংশগ্রহণকারী নিয়ে বৃহস্পতিবার ‘সাবধানে অনলাইনে বিভাগীয় সম্মেলন’ শিরোনামে ভিন্নধর্মী এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সিলেট বিভাগের মোট ৪ টি জেলায় কার্যক্রম পরিচালনার মধ্য দিয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু হয় উক্ত প্রকল্পের। মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম হিসেবে এই প্রত্যেকটি জেলায় ‘অনলাইন সেফটি আড্ডা’ নামক ১টি দিনব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করা হয়, যাতে অংশগ্রহণ করেন ১৬-২৫ বছর বয়সী স্থানীয় তরুণ-তরুণীরা। প্রকল্পের সিলেট পর্বের সমাপ্তি অনুষ্ঠান হিসেবে এই বিভাগীয় সম্মেলন আয়োজন করা হয়। যেখানে যুব সমাজের পাশাপাশি আরও উপস্থিত ছিলেন সিলেট বিভাগের নানা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাগণ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ, সাংবাদিক, স্বনামধন্য সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার এবং জাগো ফাউন্ডেশন-এর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ।
ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো বর্তমানে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে বহুল ব্যবহৃত। এই মাধ্যমগুলো ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অধিকাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরাই অসচেতন ও অসতর্ক, যা তাদের নিজের অনলাইন নিরাপত্তার জন্য হুমকি ডেকে আনার পাশাপাশি অন্যান্য ব্যবহারকারীদের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে থাকে। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন আচরণের কারণে অনেকেই অনিরাপদ পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে থাকেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে ওঠার যাত্রায় শামিল হওয়ার জন্যে যুবসমাজের মাঝে ইন্টারনেট এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার এখনই সময়। আর এই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই আয়োজন করা হয়েছে এই বিভাগীয় সেমিনারটি।
প্রকল্পের অনলাইন ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে ‘অনলাইন সেফটি আড্ডা’ কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের Shabdhane Online হ্যাশট্যাগটি ব্যবহার করে ইতিবাচক কনটেন্ট তৈরি করে নিজ নিজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করার আহবান জানানো হয়। এটি মূলত ছিল একটি অনলাইন কনটেন্ট তৈরির প্রতিযোগিতা।
উক্ত সেমিনারে উপস্থিত প্যানেল বক্তা সিলেট চেম্বারের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাবেয়া আক্তার রিয়া বলেন, ইন্টারনেট আমাদের জন্য বড় পাওয়া। বর্তমানে এমনকি বাচ্চারাদের কাছেও ইন্টারনেটের এক্সেস আছে। আমি অভিভাবকদের অনুরোধ করব ইন্টারনেটে তাদের বিচরণ গভীরভাবে মনিটর করবেন যাতে করে তারা শুধুমাত্র ইন্টারনেটের ইতিবাচক দিকগুলোই বেছে নেয়।
প্যানেল বক্তা সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে আমরা অনলাইনে যুব-সম্প্রদায়কে বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনায় জড়িয়ে পড়তে দেখছি। আমি যুবক-যুবতীদের আহ্বান করব এই ধরনের ব্যাপারগুলো থেকে নিজেদের বিরত রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করা।
অনুষ্ঠানে আরেক প্যানেল বক্তা শাবির সমাজকর্ম বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন ইন্টারনেট ও বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়াতে যেই ত্রুটিপূর্ণ, অসত্য বা অনৈতিক কনটেন্টগুলো ছড়িয়ে পড়ছে তা প্রতিহত করতে হবে। আইনের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে এগুলো প্রতিহত করা সম্ভব। কিন্তু সাধারণ মানুষের সচেতনতা ছাড়া কোন কিছুতেই সফলতা আসবে না।
ইনফ্লুয়েন্সার সাকিব বিন রশীদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত সমাজের প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ইন্টারনেটের সিকিউরিটির প্রতি নজর রাখার পাশাপাশি এমন কন্টেন্ট থেকে আমাদের দূরে থাকা উচিত যা আমাদের মন মানসিকতা নষ্ট করে অর্থাৎ আমাদের সকল প্রকার নেতিবাচক কন্টেন্ট থেকে দূরে থাকা উচিত।