বৃষ্টির প্রভাব কাঁচাবাজারে
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ অক্টোবর ২০২৩, ১২:১৫:০০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: এক রাতের ব্যবধানে কেজিতে ৩০ টাকা বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম। ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া সবজি ২২০-২৩০ টাকায় পৌঁছেছে। টানা বৃষ্টির কারণে সবজির বাজারে দাম চড়া বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
শুক্রবার নগরীর পাঠানটুলা, আম্বরখানা, রিকাবীবাজার ও বন্দরবাজারে কাঁচাবাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে। এসব বাজারে একমাত্র পেঁপে পাওয়া যাচ্ছে তুলনামূলক কম দামে। বাজারভেদে ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি কাঁচা পেঁপে।বাজারে আর কোনো সবজি ৮০ টাকার কমে নেই। কাকরোল, চিচিঙ্গা, ঢেঁড়স, বেগুন, কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে। যা বৃহস্পতিবারও ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাঠানটুলা এলাকার সবজি বিক্রিতে আনিস বলেন, ‘আজ সব দোকানেই মাল (সবজি) কম। বৃষ্টি সবজি কম আসছে। তাই দাম একটু বেশি।’বাজারে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। লাউয়ের পিস ৬০ থেকে ৭০ টাকা। জালি কুমড়া ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচাকলার হালি ৩০ টাকা, লেবুর হালি ১০ থেকে ২০ টাকা, ধনিয়া পাতার কেজি ৪০০ টাকা। কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা কেজি দরে।
এদিকে ছোট আকারের এক কেজি বাঁধাকপি কিনতে ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ছোট আকারের ফুলকপি ১০০ থেকে ১২০ টাকা। মুলা ৫০ টাকা, পাকা টমেটো ১০০ থেকে ১২০ টাকা, কচুরমুখী ৭০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে শিম পাওয়া যাচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে।সবজির দামের এই চড়া মূল্যে বিরক্ত ক্রেতারা। নগরীর সাগরদিঘীর পাড়ের রিক্সাচালক তৌহিদ বলেন, এই মেঘবৃষ্টির দিনে বৃষ্টিতে ভিজে দৈনিক সর্বোচ্চ ৩০০-৩৫০ টাকা রুজি হয়। এরমধ্যে চাল-ডাল-তেল সহ নিত্যপণ্য কিনতেই শেষ। মাংস তো ভাই খাই না। ওত টাকা নাই। সবজি আর মাছ কিনতে গেলে ৬ বার ভাবতে হয়। এভাবে জীবন চালানো দায় হয়ে পড়েছে। গরীবের দুঃখ দেখার কেউ নেই।