সুনামগঞ্জে বৃষ্টি হলেই বাড়ে সবজির দাম
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ অক্টোবর ২০২৩, ৫:৩৬:৫০ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জে সবজির দাম বেড়েছে কেজিতে ১০-২০ টাকা করে। অপরিবর্তিত রয়েছে পেঁপের দাম এবং কিছুটা কমেছে কাঁচা মরিচের দাম। দাম বাড়ার কারণ হিসেবে বৃষ্টির অজুহাত দেখাচ্ছেন খুচরা বিক্রেতারা। দৈনন্দিন মূল্য তালিকাও আপডেট করেন না ব্যবসায়ীরা। দরকষাকষি করে সবজি কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টির কারণে বাইরের জেলা থেকে আলুসহ অন্যান্য সবজি কিনতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। আমাদের সবজি কিনতেই হয় বাড়তি দামে। কেজিতে আমরা এক টাকা বা পঞ্চাশ পয়সা লাভ করছি।
শহরের কিচেন মার্কেট এলাকায় সবজি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বরবটি ৮০ টাকা, বেগুন ৬০-৭০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, ঝিঙা ৬০-৭০ টাকা, পটল ৬০-৭০ টাকা, শসা ৫০-৬০ টাকা, লতি ৫০ টাকা, মুকি ৭০-৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া (প্রকার ভেদে) ৪০-৫০-৬০ টাকা, জালি কুমড়া ৬০-৭০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০-৫০ টাকা, গাজর ১২০-১৫০ টাকা, শিম (প্রকার ভেদে) কেজি ১৬০-১৮০-২২০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৫০-৬০ টাকা, করলা ৭০-৮০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা, কাঁচামরিচ ২৫০-৩০০ টাকা, পেঁপে ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
কিচেন মার্কেট এলাকায় ছমরু মিয়া ট্রেডার্স’র সবজি বিক্রেতা দিদার মিয়া বলেন, আজকে আলুর দাম বেড়েছে, তাই দোকানে আলু রাখিনি। মূল্য তালিকার আপডেট করা হয় না কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ব্যানারে কালি বসে গেছে, যে কারণে নতুন করে মূল্য তালিকা প্রস্তুত করা সম্ভব হচ্ছে না। আগামীকাল থেকে নিয়মিত মূল্য তালিকা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
খুচরা সবজি বিক্রেতা রঞ্জন সরকারের কাছে মূল্য তালিকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কলম নেই, তাই আজকে মূল্য তালিকা লিখা হয়নি।বাজারে সবজি কিনতে আসা জিতেন্দ্র কুমার পাল বলেন, সব সবজির দাম বেশি। একমাত্র পেঁপের দামটা কম। লালপুর থেকে এসেছেন গুলবাহার বেগম। তিনি বলেন, বাজারে ঘুরে দেখছি, সব সবজির দাম বেশি। এরপর এক সবজির দোকানে দরকষাকষি শেষে এক কেজি পেঁপে ২৫ টাকায় কিনেছি।
হালুয়ারগাঁও গ্রামের বাসিন্দা রিপন মিয়া বলেন, তিনদিন পরপর আমি শহরে বাজার করতে আসি। সবজি কিনতে গেলেই বিক্রেতারা বলেন, দাম বেড়ে গেছে। মেঘ-বৃষ্টি হলে তো কোনো কথা নেই। প্রত্যেকটা সবজির দাম বাড়িয়ে বিক্রি করে। আমরা অসহায় হয়ে বাড়তি মূল্যে কিনি। তিনি বলেন, বাজারে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা দরকার। নইলে ব্যবসায়ীরা যেমনে খুশি, তেমনি করে পণ্য বিক্রি করবেন।
জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আল আমিন বলেন, বাজারে স্থানীয় সবজি কম, বাইরের জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা সবজি কিনে আনেন। যে কারণে দামটা একটু বেশি। মূল্য তালিকার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা নিয়মিত মনিটরিং করছি। শহরের পাশাপাশি বিভিন্ন উপজেলায় তদারকি করছি। মূল্য তালিকা দৈনন্দিন আপডেট না করলে এবং আমরা এর প্রমাণ পেলে আইন প্রয়োগ করব।