টিলা কাটা বন্ধ না হলে মৃত্যু যাবে না: বেলা
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ অক্টোবর ২০২৩, ৮:৩৩:২৯ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: টিলা কাটার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে টিলা ধস ও মৃত্যু থামানো যাবে না বলে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)। বুধবার সংগঠনের সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শাহ সাহেদা আখতার সাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এক কথা জানানো হয়। এসময় তারা দাবি জানান জরুরী ভিত্তিতে টিলার পাদদেশে বসবাসকারী জনগনের তালিকা করে পূর্ণবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে, টিলা কাটা বন্ধ করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ ও উচ্চ আদালতের নিদের্শনা সম্বলিত সাইনবোর্ড সংশ্লিষ্ট স্থানসমূহে লাগানো এবং দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
শাহ সাহেদা ছাড়াও অন্যান্য বিবৃতিকারীরা হলেন সুজন, সিলেট জেলা কমিটির সভাপতি ফারুক মাহমুদ মাহমুদ চৌধুরী, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম, সিলেট প্রেসক্লাব ইকবাল সিদ্দিকী, ব্লাস্ট সিলেট ইউনিটের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট মোঃ ইরফানুজ্জামান চৌধুরী, আইডিয়ার নির্বাহী পরিচালক নজমুল হক, মনিপুরি সাহিত্য সংসদ সভাপতি এ কে শেরাম, সনাক সিলেট সভাপতি সমিক শহিদ জাহান, শাবিপ্রবির সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক তাহমিনা ইসলাম, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি, সিলেটের বিভাগীয় প্রধান অ্যাডভোকেট সৈয়দা শিরীন আক্তার, উদীচী সিলেট জেলা সংসদের সভাপতি এনায়েত হাসান মানিক, একডোর নির্বাহী পরিচালক লক্ষ্মীকান্ত সিংহ।
বিবৃতিতে জানানো হয় আমরা দীর্ঘদিন থেকে উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, টিলা/পাহাড় কাটা দিন দিন বেড়েই চলছে। অবৈধভাবে টিলার/পাহাড়ের মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ার কারণে যেমন পরিবেশ ও প্রতিবেশগত অবস্থা মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে তেমনি ভূমির স্থিতিশীলতা নষ্ট হয়ে ভূমি ধসে প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটছে। সাম্প্রতিক সময়ে সিলেটে অতিবর্ষণের সময় জেলার সদর ও জৈন্তাপুর উপজেলায় টিলা ধসের ঘটনায় এবং ১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং হবিগঞ্জে নবীগঞ্জে ১০ জন আহত হয়েছেন । টিলা ধসের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট এলাকাসমুহ পরিদর্শন করে দেখা গেছে ধসে যাওয়া টিলাগুলো কেটে মাটি অপসারণ করা হয়েছে এবং কর্তনকৃত অংশে বসতঘর নির্মাণ করে লোকজন ঝুঁিকপূর্ণ অবস্থায় বসবাস করছেন। উল্লেখ্য যে, সিলেট সিটি কর্পোরেশনসহ সদর, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারে টিলা কাটা রোধে বেলা’র দায়েরকৃত রীট আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১২ সালে ০১ মার্চ উচ্চ আদালত পাহাড়/ টিলা কাটা রোধ করে তা যথাযথভাবে সংরক্ষণ এবং টিলার পাদদেশে বসবাসকারী দরিদ্র জনগনকে পূর্ণবাসনের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়ে রায় দেন।