গোয়াইনঘাটে উন্নয়ন কাজে ঠিকাদারের গাফলতি
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ অক্টোবর ২০২৩, ৮:২৫:৩৯ অপরাহ্ন
গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি: গোয়াইনঘাটে কয়েকটি উন্নয়ন কাজে ঠিকাদারের গাফলতিতে চরম জনদুর্ভোগে পড়েছেন এলাকাবাসী। যাতায়াতের উন্নয়নে সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয় হলেও সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতায় সমালোচনায় ফেলছে সরকারের উন্নয়ন। উনাই হাওর ব্রিজের কাজ বাতিলের জন্য লিখেছেন প্রকৌশলী।
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পিরিজপুর সোনার হাট রাস্তার এলজিইডির আওতায় উনাই হাওরে ৬০মিঃ দীর্ঘ ব্রিজের কাজ শুরু হয় ২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে। আজ পর্যন্ত কাজের কাজ কিছুই হয়নি। গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তায় যান চলাচলের বিকল্প সড়কের কোনো ব্যবস্থা না করেই পুরাতন ব্রিজ ভেঙে ফেলায় উত্তর গোয়াইনঘাটবাসীর যোগাযোগ সদরের সাথে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এলাকার শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকারে পড়েন। পরে উপজেলা প্রশাসন, পরিষদ, বিভিন্ন জনপ্রতিনিধির প্রচেষ্টায় একটি বিকল্প সড়ক নির্মাণ হলেও সামান্য বৃষ্টি আর পানিতেই যান চলাচল বিঘিœত হয়। খেয়া পারাপার হয় চালুু। ব্রিজটির ঠিকাদারের কাজের গাফিলতে সৃষ্ট জনদুর্ভোগ এখনও চলছে। ব্রিজটি নির্মাণে সরকারের ৮ কোটিরও বেশি টাকা ব্যয় হচ্ছে। এলাকাবাসী জানান, ঠিকাদার এখনও কাজের কাজ কিছুই করতে পারেনি, ২/১দিন কাজ করলে আবার কয়েকদিন বন্ধ থাকে। জানা যায়, ব্রিজটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আল কামিল প্রোপাইটিজ। উপজেলা প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রায় ৩০% কাজ হয়েছে, আমি কাজ বাতিলের জন্য লিখেছি।
এক কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে তোয়াকুল কুরিখলা-কান্দিগ্রামরাস্তা ২০২১/২২ অর্থ বছরের ১৬শ মিটার দীর্ঘ রাস্তার কাজের রয়েছে ধীরগতি। ফলে কাজ এখনও শেষ হয়নি।আটলী হাই নাইন্দা রাস্তা ৩ হাজার ৪ শ মিটার, আরসিসি, বিসি, ব্যয় দুই কোটিরও বেশি, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রুপালী কনস্ট্রাকশন বরিশাল। এলাকাবাসী জানান বছরের প্রথম দিকে কাজের জন্য রাস্তাটি ভাঙা হয়, কাজে ধীরগতি থাকায় যাতায়াতে মারাত্মক জনদুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শিক্ষার্থীসহ জরুরী রোগি পরিবহন বিঘ্নিত হচ্ছে। উপজেলা প্রকৌশলী বলেন, কাজ এই ক’দিন থেকে শুরু হয়েছে।
একই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে গোয়াইনঘাট টু গুরকচি সাড়ে ছয় কিলোমিটার রাস্তার কাজ শুরু করে গেল বছরের প্রথম দিকে। আজও শেষে হয়নি। এছাড়া কাজের মান নিম্নমানের হওয়ায় রাস্তার কার্পেটিং উঠতে শুরু করেছে বলে জানান এলাকাবাসী। উক্ত ঠিকাদার কার্পেটিং এর মালামাল গোয়াইনঘাট সদরের পাশে তৈরি করে গাড়ি দিয়ে ৪/৫ কিঃ মিঃ দূরে নিয়ে কার্পেটিং করায় রাস্তা মেরামতের উপকরণগুলো অনেকটা শীতল হয়ে পড়ে। দায়সারা ভাবে কার্পেটিংয়ের কাজ করা হচ্ছে এমন অভিযোগ জনসাধারণের। গোয়াইনঘাট সদরের পাশে যেখানে তার মালামাল রয়েছে সেখানে পূর্বের ভাঙা রাস্তা থাকায় যান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে। সংশ্লিষ্টরা এ বিষয়ে রয়েছেন উদাসীন। ঠিকাদারের কাজে ধীরগতি, উদাসীনতা, সুষ্ঠ তদারকির অভাবে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ চরমে পৌছেছে। মানুষের উন্নয়নে কোটি কোটি টাকা ব্যায় করা হলেও উদাসীনতায় সৃষ্ট জনদুর্ভোগের কাছে সরকারের উন্নয়নকে ক্ষুন্ন করা হচ্ছে।