সিলেটে জোড়া খুনের মামলায় ৩ জনের ফাঁসি, ২ জনের যাবজ্জীবন
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ অক্টোবর ২০২৩, ৬:১৪:০৮ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটে চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের মামলায় ৩ জনের ফাঁসি ও দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রোববার দুপুরে অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ নূরে আলম ভূঁইয়া এ রায় ঘোষণা করেন। এ তথ্য দৈনিক জালালাবাদকে নিশ্চিত করেন আদালতের অ্যাডিশনাল পিপি অ্যাডভোকেট জুবায়ের বখত।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার গোলাবাজার ইউনিয়নের নয়াগাও চারমাইল মানিক মিয়ার ছেলে ও নগরের সুবিদবাজার বনকলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা শিপন আহমদ, হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার কসবা এলাকার মৃত শমসির মিয়ার ছেলে ও বাগবাড়ি নরশিংটিলা এলাকার বাসিন্দা দুলাল মিয়া এবং গোয়াবাড়ি এলাকার ভোলা মিয়ার ছেলে ও নগরের কাজলশাহ রমিজ মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া উজ্জ্বল। তাদের মধ্যে শিপন মিয়াকে আরেকটি ধারায় আরো ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দু’জন হলেন- নগরের কানিশাইল এলাকার মাসুক মিয়ার ছেলে ও কাজিরবাজার এলাকার বাসিন্দা নজরুল এবং গোলাপগঞ্জ উপজেলার পূর্ব ফুলসাইন্দ বারজানটিলার শফিক উদ্দিনের ছেলে শাকিল আহমেদ। রায়ে যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত দুজনকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারী সন্ধ্যায় শহরতলীর খাদিমনগর বিসিক শিল্পনগরীর বনফুলের ফ্যাক্টরি থেকে বাসায় ফেরার পথে রাজু আহমদ (১৯), এস এম তাপু মিয়া (৩৫) ও রাসেল আহমদকে (২৩) কে বা কারা কুপিয়ে ছুরিকাঘাত করে ফেলে যায়। পরে তাদের উদ্ধার করে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজু ও তাপুকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই চাঁদপুর জেলার হাজিগঞ্জের হারুনুর রশিদের ছেলে মাসুদ পারভেজ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৮/১০ জনকে আসামি করে এসএমপির শাহপরান (রহ.) থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আলোচিত এই মামলাটি ৩ তদন্তকারী কর্মকর্তার হাত বদল হয়ে ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল আসামিদের অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে মামলাটি আদালত বিচারের জন্য দায়রা ১৮৯ মূলে রেকর্ড করে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর সাক্ষীদের সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে এ রায় ঘোষণা করা হয়।