বিয়ানীবাজারে ২ মাস পর কবর থেকে ব্রিটিশ বাংলাদেশীর লাশ উত্তোলন
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ অক্টোবর ২০২৩, ৮:১৬:০৫ অপরাহ্ন
বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি: দাফনের প্রায় দুই মাস পর আদালতের নির্দেশে অবশেষে তোলা হলো ব্রিটিশ বাংলাদেশী নাগরিক জালাল উদ্দিনের মরদেহ। মঙ্গলবার সকাল ১১টার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল আলমের নেতৃত্বে বিয়ানীবাজার উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের তাজপুরস্থ কবরস্থান থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়। লাশ উত্তোলনের সময় বিয়ানীবাজার থানার ওসি দেবদুলাল ধর, ওসি (তদন্ত) লুতফুর রহমান, স্থানীয় ইউপি সদস্য কয়ছর আহমদ, স্থানীয় ইমামসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
নিহত ব্রিটিশ নাগরিক জালাল উদ্দিন (৫৫) উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের তাজপুর গ্রামের মৃত মাহমুদ আলীর পুত্র। গত ১৭ সেপ্টেম্বর নিহতের মেয়ে জোবায়দা জালাল আপন চাচাসহ ৪ জনকে অভিযুক্ত করে সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। পরে আদালতের নির্দেশে বিয়ানীবাজার থানায় মামলা রেকর্ড হয়েছে।
মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, জোবায়দা জালালের পিতা জালাল উদ্দিনের (৫৫) দেশে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে। এজন্য ২০১৯ সাল থেকে তিনি দেশে বসবাসরত ছিলেন। গত ১৯ আগস্ট জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে জোবায়দার বড় চাচা সুনাম উদ্দিনসহ পরিবারের লোকজন ঐদিন তার পিতাকে মারধর করেন। বিকেলেই মৃত্যুর পূর্বে তিনি বিষয়টি স্থানীয়দের অবহিত করেছেন।
এদিকে, নিহতের সন্তানাদি প্রবাসে থাকায় বড় চাচা সুনাম উদ্দিন পুলিশকে না জানিয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরদিন জানাজা শেষে লাশ দাফন করেন। পিতাকে মারধরের খবর পেয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে সিলেটের পুলিশ সুপার বরাবর তিনি প্রাথমিকভাবে অভিযোগ করেন এবং পরে দেশে এসে গত ১৭ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলা করেন জোবায়দা জালাল। মামলায় নিহতের বড় ভাই সুনাম উদ্দিন (৬০), তার দ্বিতীয় স্ত্রী রাবিয়া বেগম (৩৬), পালিত কন্যা মান্না বেগম (২২) ও একই এলাকার পাথারিপাড়া গ্রামের আব্দুল হাছিবকে অভিযুক্ত করেছেন।
বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ দেবদুলাল ধর বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাজ করছি। ইতিমধ্যে মামলা রেকর্ডসহ আদালতে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।