সন্ধ্যা নামতেই দখল সড়ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ অক্টোবর ২০২৩, ৩:৩৭:৪৩ অপরাহ্ন
বন্দরবাজারে জট যেন নিয়তি
স্টাফ রিপোর্টার: সন্ধ্যা নামতেই হকার আর সিএনজি, লেগুনার দখলে চলে যায় সিটি কর্পোরেশনের সামনের সড়কটি। দুপুরের পর থেকেই ধীরে ধীরে হকারদের নানান পসরা নিয়ে দখল হওয়া শুরু, বিকেলে চলে যায় প্রায় অর্ধেক আর সন্ধ্যার পর থেকে প্রায় পুরোটাই হকার এবং সিএনজি স্ট্যান্ডের দখলে।
হাসান মার্কেটের গা ছুঁয়ে সরু গলির মতো একটু জায়গা কেবল বাকি যানবাহন চলাচলের জন্য। তাও দখল হয়ে যেত যদি সেই গলি দিয়ে বাহনগুলো চলাচল না করতো। সোবহানীঘাট থেকে বন্দরবাজার হয়ে সুরমা মার্কেট ও তালতলা যেতে হয় এই সড়ক দিয়ে, কোর্ট পয়েন্টে এসে উত্তরে মোড় নিয়ে জিন্দাবাজারেও যেতে হয় এই সড়ক হয়েই। ফলে নগরীর অন্য সড়কগুলোর চেয়ে এই সড়কের ব্যস্ততা এবং যানবাহনের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। এর পাশেই সিলেটের সবচেয়ে বড়ো পাইকারী বাজার মহাজন পট্টি এবং কালিঘাট। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে এখন বাহন নিয়ে আসাই যেন এক বড়ো অপরাধ। বন্দর চুড়িপট্টি পার হয়েই প্রতিটি বাহনকে এখানে আটকে যেতে হয় যাটজটে। পুরো রাস্তা দখলে চলে যাওয়ায় সরু গলির মতো রাস্তা দিয়ে এখানে যানবাহন চলে কচ্চপ গতিতে। ফলে ব্যস্ততম বন্দরবাজারে আসা লোকজনের যানজট ও সময়জটে পড়তে হয় সীমাহীন দুর্ভোগে।
সরেজমিন দেখা গেছে মহাজনপট্টির মুখ থেকেই সবজিওয়ালা, চানাচুরওয়ালা, ফেরিওয়ালারা হেড পোস্ট অফিস পর্যন্ত তাদের পসরা সাজিয়ে দখল করে বসে আছেন। নানান ধরনের তরিতরকারি, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, মনোহরি সামগ্রি, শুটকি, মাছ, মুরগির ঘিলা কলিজা সব পাওয়া যায় রাস্তা দখল করে বসা এই বাজারে। রাস্তার পাশের ফুটপাত দখল চশমাওয়ালা, তালাওয়ালা, হালিমওয়ালাদের কাছে। একটু এগিয়ে সিটি কর্পোরেশনের গেইটের সামনে দক্ষিণ সুরমাগামী সিএনজি চালিত অটোরিকশার বিরাট জটলা। এখানে স্ট্যান্ড করে তারা যাত্রী উঠানামা করেন। সাধারণ মানুষ তো আছেই খোদ সিসিকের গাড়িও কার্যালয়ে থেকে বের হতে বেগ পেতে হয়। তবুও এর কোনো প্রতিকার নেই। পাশেই লালদীঘির হকার মার্কেটে পুনর্বাসনের জন্য হকারদের জন্য বিশাল জায়গা করে দেওয়া হয়েছে, সেই জায়গায় অল্প ক’জন হকার ব্যবসা করছেন। বাকি সবাই সামনে এসে রাস্তা দখল করে বসে থাকেন। বিশাল জায়গার বেশিরভাগই খালি পড়ে আছে। কিন্তু সিসিক এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান রহস্যময় কারণে হকারদের পুনর্বাসিত জায়গায় বসতে বাধ্য করেনি।
পথচারীদের অনেকে বলেন, নির্দিষ্ট জায়গায় হকারদের বসা বাধ্যতামূলক করা দরকার। এতে নিরাপদে এক জায়গায় ঘুরেফিরে তারা বাজার করতে পারবেন আবার সড়কেও শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। তারা মনে করেন হকারদের অভ্যাস দৌড়ঝাঁপ করে ব্যবসা করা, তাদের যদি একবার আরামে ব্যবসা করার মজা বুঝানো যায় তবে তারাও সুন্দরভাবে ব্যবসা করতে পারবে। এজন্য তাদের বাধ্য করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। এক্ষেত্রে শুধু সিটি করপোরেশন, স্থানীয় প্রশাসনসহ সবার সমন্বয় দরকার। নইলে সড়ক ও ফুটপাতের এ বিশৃঙ্খলা রয়েই যাবে।