কোম্পানীগঞ্জে ২৮টি মণ্ডপে চলছে দুর্গাপূজা
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ অক্টোবর ২০২৩, ৮:১১:১৩ অপরাহ্ন
কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি : ঢাক-ঢোল খোল-করতাল শঙ্খ-ঘন্টা বাদ্যের তালে ধূপ-ধুনোর ধোঁয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা। ষষ্ঠী পূজার আনুষ্ঠানিকতায় শুরু হয়েছে মণ্ডপে মণ্ডপে দেবীর আরাধনা। এবার সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ২৮টি মণ্ডপে পূজা-আর্চনা চলছে। যার মধ্যে রয়েছে একটি পারিবারিক পূজামণ্ডপও।
উপজেলার ২৮টি পূজা মণ্ডপের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য ১৭৮জন আনসার সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। আলাদা আলাদা টিম করে তাদেরকে প্রতিটি পূজা মণ্ডপের দায়িত্ব দেয়া হয়। ২৮টি পূজা মণ্ডপের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থায় দূরবর্তী হওয়ায় ৫টিকে আলাদা গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ছনবাড়ী সার্বজনীন পূজা মণ্ডপ ও বিজয়পাড়ুয়া দক্ষিণ পাড়া সার্বজনীন পূজা মণ্ডপে ৮ জন করে আনসার সদস্য দেওয়া হয়েছে। বাকি সকল মণ্ডপে ৬ জন করে আনসার সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন। আনসার সদস্যের পাশাপাশি গ্রামপুলিশ বাহিনীও রয়েছে। তাছাড়া থানা পুলিশের টিম নিয়মিত টহলে রয়েছে।
পূজা-অর্চনা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শুক্রবার থেকে উপজেলার হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা দেবী দুর্গার বন্দনা করেছেন। ঢাক-ঢোল-কাঁসর, শঙ্খ ও উলুধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে বিভিন্ন পূজামণ্ডপ। এ বছর সরকার থেকে প্রতিটি পূজা মণ্ডপে ৫শ কেজি করে চাল দেয়া হয়েছে। তা ছাড়া প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এর পক্ষ থেকে ৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে প্রতিটি পূজা মণ্ডপে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অখিল বিশ্বাস জানান, পূজা উদযাপনের জন্য প্রশাসন সার্বিক সহযোগিতা করছে। প্রতিটি মণ্ডপের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আমরা খুশি। সকলের সার্বিক সহযোগীতায় প্রতি বছরের মতো এবারও সুন্দর ভাবে পূজা শেষ হবে আমরা আশা করছি।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আনসার-ভিডিপি কর্মকর্তা মোছা: সেলিনা বেগম জানান, ২৮টি পূজা মণ্ডপের জন্য আলাদা আলাদা টিম করে আমাদের ১৭৮জন আনসার সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। এবার অস্ত্র প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত আনসার সদস্যরাই ডিউটি পালন করছে। বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ২টি মণ্ডপে আমরা ৮জন করে আনসার সদস্য দিয়েছি। প্রতিটি পূজা মণ্ডপে আনসার সদস্যের ২জন মহিলা ও ৪জন পুরুষ দায়িত্ব পালন করছেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি হিলে¬াল রায় জানান, দূর্গা পূজার সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আমাদের সর্বাত্মক প্রস্তুতি রয়েছে। মণ্ডপে মণ্ডপে পুলিশের টিম টহলে থাকবে। কোন অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য পূজা সংশি¬ষ্ট সকলের সাথে মতবিনিময় করেছি।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুসিকান্ত হাজং জানান, পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিটি মণ্ডপে আইপি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে সকল মণ্ডপে ৫শ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে।