গোলাপগঞ্জে যুবলীগ কর্মী খুন : হয়নি মামলা, নেই আটক
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ অক্টোবর ২০২৩, ৮:২৫:৪১ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় ছাত্রলীগ কর্মীদের ছুরিকাঘাতে যুবলীগ কর্মী খুনের ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। তবে খুনিদের ধরতে চেষ্টা চলছে জানিয়েছেন গোলাপগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) সুদীপ দাস।
এ দিকে যুবলীগ কর্মী তাজেল আহমদ খুনের ঘটনায় দুই পেরিয়ে গেলেও এখনো মামলা দায়ের হয়নি। শনিবার সন্ধ্যায় এ তথ্যটি নিশ্চিত করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় এখনো পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়নি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ওসি জানান, খুন হওয়া তাজেল আহমদের লাশ ময়না তদন্ত শেষে শুক্রবার দুপুরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। পরে বিকালে লাশের দাফন সম্পন্ন হয়। তাজেল আহমদ গোলাপগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম আমুড়া ইউনিয়নের আমুড়া গ্রামের ময়েন আলীর ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গোলাপগঞ্জ উপজেলার আমুড়া ইউনিয়নের আমনিয়া বড় মসজিদের সামনে তাজেল আহমদকে ছুরিকাঘাত করেন কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়। তাজেলের সাথে তানভির আহমদ নামের আরেক যুবকও আহত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তানভির জানান, ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে গালাগালি করা নিয়ে তাজেলের সাথে ছাত্রলীগ কর্মী একই উপজেলার কদমরসুল গ্রামের অপু আহমদের বিরোধ ছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাজেল ও তানভির একসঙ্গে বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিল। তখন অপু ও সাঈদসহ আরো ৫-৬ জন ছাত্রলীগ কর্মী তাদের পিছু নেয়। আমনিয়া বড় মসজিদের সামনে আসার পর অপু পেছন থেকে তাজেলকে ডাকলে সে তার কাছে যায়। এ সময় অপু তাজেলের গলায় ছুরিকাঘাত করে। তাজেলকে রক্ষায় এগিয়ে গেলে তারা আমাকেও ছুরিকাঘাত করে দাড়িপাতন গ্রামের সাঈদ আহমদ।