গাজায় ৩০ শতাংশ ঘর-বাড়ী ধ্বংস
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ অক্টোবর ২০২৩, ৮:৩১:৪৬ অপরাহ্ন
জালালাবাদ রিপোর্ট : গাজা উপত্যকার আবাসন খাতের অন্তত ৩০ শতাংশ ধ্বংস বা বসবাস অযোগ্য হয়ে পড়েছে। হাসপাতালগুলোতে রোগীর উপচে পড়া ভিড়ে বিরাজ করছে আবেগঘন পরিস্থিতি। জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয়কের (ওসিএইচএ) কার্যালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে রুশ বার্তা সংস্থা তাস এ তথ্য জানিয়েছে।
গাজার আবাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্য উল্লেখ করে ওসিএইচএ জানায়, ৭ থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত গাজা উপত্যকার ১২ হাজার ৮৭৫ আবাসন ইউনিট ধ্বংস, ৯ হাজার ৫৫টি বসবাস অযোগ্য এবং আরও এক লাখ ২১ হাজার আবাসন ইউনিট সামান্য থেকে মাঝারি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এছাড়াও হাসপাতালের বারান্দায় রোগীদের উপচে পড়া ভিড়। অনেকেই চিকিৎসার জন্য অপেক্ষা করছে। গাজার একমাত্র কেমোথেরাপি হাসপাতালটিতে অব্যবস্থার কারণে, নয় হাজার ক্যানসার রোগীর পর্যাপ্ত যত্ন নেওয়া যাচ্ছে না।
গাজায় বিমান হামলায় শিশুসহ শত শত মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছে উল্লেখ করে ওসিএইচএ বলেছে, ফিলিস্তিনি উদ্ধার দলগুলো ক্রমাগত বিমান হামলা, যানবাহন ও সরঞ্জাম চালানোর জন্য জ্বালানির তীব্র ঘাটতি এবং সীমিত মোবাইল নেটওয়ার্ক বা সংযোগ বিচ্ছিন্নতার মধ্য দিয়ে তাদের অভিযান পরিচালনা করতে সংগ্রাম করছে। ওসিএইচএ আরও জানায়, ১০ দিন ধরে গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
এদিকে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা এবং মিশরের মাঝে অবস্থিত রাফাহ সীমান্ত দিয়ে অবশেষে ঢুকেছে আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোর সহায়তা সামগ্রী। রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং এর গাজার প্রান্তে ছোট ছোট ট্রাকে করে সেগুলো গাজা উপত্যকায় পৌঁছানো হবে। যদিও ত্রাণ সংস্থাগুলো বারবার ২০ ট্রাকের এই সহায়তাকে ‘সমুদ্রের মাঝে একফোঁটা পানির’ সঙ্গে তুলনা করে আসছে।
গাজায় বিবিসির সাংবাদিক জানান যে, সহায়তার মধ্যে শুধুমাত্র চিকিৎসা সামগ্রী এবং খাবার থাকলেও নেই জীবন রক্ষাকারী পানি এবং গাজাবাসির এই মূহুর্তে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় জ্বালানি। তিনি আরও জানান, সকাল থেকেই সীমান্তের গাজার প্রান্তে মিসর থেকে আসা মানবিক সাহায্য লোড করতে ছোট ছোট খালি ট্রাক অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
বিবিসির সাংবাদিক জানান যে, শনিবার রাফাহ সীমান্ত দিয়ে আগের নির্ধারিত মোট ২০টি ত্রাণবাহী গাড়ি প্রবেশ করেছে। এসব গাড়ির মধ্যে একটিতে কফিন বোঝাই ছিল এবং বাকিগুলোতে খাবার ও চিকিৎসা সামগ্রী ছিলো।
তবে ইসরায়েল পুনরায় জানিয়েছে যে গাজায় মানবিক সাহায্য ও পানি প্রবেশ করতে দেয়া হলেও জ্বালানি প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। যদিও অবরুদ্ধ এই অঞ্চলটিতে পানি সরবরাহ ও হাসপাতালের মতো গুরুত্বপূর্ণ সেবা পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত পাওয়ার জেনারেটরগুলিতে জ্বালানী প্রয়োজন।