ব্রয়লার মুরগির ডাবল সেঞ্চুরি
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ অক্টোবর ২০২৩, ১২:৪০:৫৭ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: নগরে দুইশ ছুঁয়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। পেঁয়াজ লাফ দিয়ে বেড়ে হয়েছে ১০০ টাকা কেজি। এ ছাড়া গত এক সপ্তাহে সবজির দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ১০ থেকে ৩০ টাকা। স্বস্তি নেই মাছ, মাংস, ডিমসহ বিভিন্ন নিত্য পণ্যের বাজারে।প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপের কথা বলা হলেও তার প্রভাব পড়ছে না বাজারে। নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির পেছনে বিক্রেতাদের অজুহাতের অন্ত নেই। এতে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের ভোগান্তির শেষ নেই।
বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের পক্ষ থেকে গত মাসে ডিম, আলু, দেশি পেঁয়াজ ও সয়াবিন তেলের দাম বেঁধে দেয়া হয়। সরকার নির্ধারিত দাম অনুযায়ী প্রতিটি ফার্মের ডিম ১২ টাকা, আলু খুচরা পর্যায়ে ৩৫-৩৬ টাকা, দেশি পেঁয়াজের দাম ৬৪-৬৫ টাকা ও প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৬৯ টাকা। কিন্তু এক মাস পার হলেও সে দামের প্রভাব পড়েনি।
সোমবার নগরীর বিভিন্ন বাজারে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, প্রায় প্রতিটি পণ্যই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। আলু ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁয়াজ ৯৫ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া একই পণ্য বাজার ভেদে দামের পার্থক্যও রয়েছে। পাইকারি পর্যায়ে দাম না কমার অজুহাতে সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করছে না বলে খুচরা বিক্রেতারা জানান।
বাড়তি দাম প্রসঙ্গে নগরীর রিকাবীবাজারের একজন মুরগি ব্যবসায়ী জানান, পাইকারি বাজারে দাম বেশি তাই বাড়তি দামে তাদের বিক্রি করতে হয়। গত এক সপ্তাহে কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে ব্রয়লার মুরগি। আমরা পাইকারী দামে কিনে সামান্য লাভে বিক্রি করি। কেজি প্রতি আমরা সর্বোচ্চ ৫টাকা মুনাফা করি।
এছাড়া সোমবার নগরীতে শিম ২০০ টাকা, ফুলকপি ২০০ টাকা, বাধাকপি ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, ঝিঙ্গা ৮০ টাকা, মুকি ৯০ টাকা, বরবটি ১০০টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, ঢেড়স ৮০ টাকা কেজি, ডিম ৫৫ টাকা হালি বিক্রি করতে দেখা গেছে।