দিরাইয়ের দু’পক্ষের বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ ১৮, আহত ২৫
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ অক্টোবর ২০২৩, ৭:০৭:১৪ অপরাহ্ন
দিরাই প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পূর্ববিরোধের জেরে দু’পক্ষের বন্দুক যুদ্ধে ১৮ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৫ আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ ও আহতদের দিরাই উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে আশংক জনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের রাড়ইল গ্রামে নুনু মিয়া ও হুমায়ূন আজাদের লোকজনের মাঝে এ সংঘর্ষ ও বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে দিরাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে।
দিরাই থানা পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, রাড়ইল গ্রামের নুনু মিয়া ও হুমায়ূন আজাদের লোকজনের মাঝে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পূর্ববিরোধ রয়েছে। আগে একাধিকবার সংঘর্ষের পর দুই গ্রুপের মামলা মোকদ্দমা চলছে। এই চলমান দ্বন্দ্ব নিরসনে এলাকার সালিশিগণ ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বারবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। সর্বশেষ কয়েকদিন আগে দিরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম চৌধুরী ও ভাইস চেয়ারম্যান মোহন চৌধুরী স্থানীয় সালিসিদের নিয়ে আপোষ মীমাংসার চেষ্টা করেন।
সালিশি ব্যক্তি কুলঞ্জ ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, আগের দিন থেকেই শোনা যাচ্ছিলো মঙ্গলবার দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হতে পারে। আমরা এলাকার সালিশরা সকাল থেকে রাড়ইল গ্রামের দু’পক্ষের লোকদের সাথে কথা বলি। এরই মধ্যে সকাল এগারোটায় দুই গ্রুপের লোকজন সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষ চলাকালীন দুই গ্রুপই বন্দুক দিয়ে গুলাগুলি করে।
দিরাই উপজেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সংঘর্ষ ও বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ নানু মিয়া (৩৭), গৌছ মিয়া (৭০), তাজিম আহমেদ (২১), তানিছ (২২), রাবেল (২৫), অলিউর রহমান (৩০), সালিশ ব্যক্তি আব্দুল নূর (৫২), রাজিব মিয়া (২৫), সুজন মিয়া (৩২), মাহিদ মিয়া (১৯), ফরসাদ মিয়া (২২), তানভীর (২২), মনি মিয়া (৪০), রবিউল (২৫), মনসাদ (২৮), আবুল কালাম (৬৫), অমিত হাসান (১৬) ও নুনু মিয়া (৬৪) এবং আহত বদরুল (২৭), হুমায়ুন আজাদ (৬০), মহিবুল (২২), রেজা (১৭), সাজ্জুল (৪২)কে প্রথমে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে আশংকাজনক অবস্থায় গুলিবিদ্ধ ও আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক হাবিব উল্লাহ সরকার সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ও আহত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন। দু’পক্ষের সংঘর্ষের বিষয়ে দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী মুক্তাদির হোসেন দৈনিক জালালাবাদকে বলেন, পূর্ব বিরোধের জের ধরে রাড়ইল গ্রামে সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছি। গ্রামের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। শুনেছি গুলাগুলি হয়েছে, কোন অভিযোগ নাই, গ্রেফতারও নাই। গ্রামে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।