ফুটপাতে পার্কিং
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৫:৪০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: নগরীর বড়ো রাস্তাগুলো হকারদের দখলে থাকলেও পাড়া মহল্লা কিংবা ছোটো রাস্তায় হকার নেই। তবে এসব রাস্তায় গাড়ি পার্কিং করে ফুটপাত দখল করে রাখেন লোকজন। কোনো কোনো জায়গায় প্রতিদিনই নিয়মিত রাখা হচ্ছে কাভার্ড ভ্যান, পিকআপ, মাইক্রোবাস। শুধু তাই নয় এসব ফুটপাতে গাড়ি নির্বিঘ্নে উঠানামার জন্য রাস্তার উপর স্থায়ী পাকা করে স্লুপ তৈরি করতে দেখা গেছে অনেক জায়গায়। কোথাও দেখা গেছে এক থেকে দেড়ফুটের মতো রাস্তা জুড়ে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে স্লুপ তৈরি করা হয়েছে। এসব কারণে ব্যস্ত সময়ে রাস্তায় তৈরি হয় তীব্র যানজট। ফুটপাতে গাড়ি থাকায় লোকজন হাঁটাচলা করতে পারেন না আবার রাস্তার অনেখানি দখলে থাকায় রিকশা গাড়ি বেশি হলে তা পাস হতে পারে না। অনেকেই বলছেন, সিটি কর্পোরেশনের লোকদের ম্যানেজ না করে প্রকাশ্যে এভাবে রাস্তা দখল সম্ভব নয়। তারা বলেন পাড়ার রাস্তায় একফুট জায়গা মানে অনেক জায়গা।
নগরীর জল্লারপার পয়েন্টে দাড়িয়াপাড়া রাস্তার প্রবেশমুখে পাঁচভাই রেস্টেুরেন্টের বিপরীতে দেখা এমনি এক চিত্র। লিয়াকত ভবনের বাইরের দিকে বিআরবি ক্যাবলের বিক্রয় কেন্দ্র। সামনে ফুটপাত দখল করে প্রতিদিন সকাল থেকে বিআরবি ক্যাবলের কাভার্ড ভ্যান পার্কিং করতে দেখা যায়। রাস্তা থেকে ফুটপাত উঁচু থাকায় গাড়ি তোলার সুবিধার্থে প্রায় দেড় ফুটের মতো জায়গা দখল করে স্থায়ী পাকা স্লুপ তৈরি করা হয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসী ও দোকানদাররা অভিযোগ করেন ফুটপাতে পাকিং এমনিতেই অবৈধ, তবে মাঝেমধ্যে প্রয়োজনে কেউ হঠাৎ গাড়ি রেখে কোথাও যেতে পারেন। কিন্তু নিয়মিত ফুটপাতকে পাকিং বানানো আইন ও প্রশাসনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুল প্রদর্শন। বিআরবি ক্যাবল এখানে তাদের দোকানের সামনের ফুটপাতকে নিয়মিত পার্কিং বানিয়ে নিয়েছে। শুধু তাই নয় তারা রাস্তা দখল করে ফুটপাতে গাড়ি তোলার সুবিধার্থে পাকা স্লুপ তৈরি করেছে। এতে সামান্য বৃষ্টি হলে রাস্তার পানি সাইডে দিয়ে যেতে পারে না এবং নামতে পারে না। ফলে অল্প বৃষ্টিতে পানি জমে রাস্তা ডুবে যায়, বেশি বৃষ্টি হলে দ্রুত পাশর্^বর্তী দোকানে ঢুকে যায়।
তাছাড়া পাঁচভাইয়ে অনেক লোকসমাগমের জন্য দুপুরের পর থেকে এখানে রাস্তায় যানজট লেগে থাকে। পাড়ার রাস্তায় একফুট রাস্তা অনেক। তারা দেড় ফুটের মতো দখল করে রেখেছে, এতে যানজটের সময় এদিক দিয়ে গাড়ি পাস হতে সমস্যা হয়। এটা না থাকলে গাড়ি সহজে পাস হয়ে যেতে পারতো। তাছাড়া তাদের এই স্লুপের কারণে অন্যান্য লোকজনও এসে ফুটপাতে গাড়ি পার্কিং করে। এতে পথচারীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়, আশপাশের দোকানপাটের ব্যবসায় ক্ষতি হয়। এ নিয়ে বিআরবি ক্যাবলের বিক্রয় কেন্দ্রে আপত্তি জানালে তারা কথা শুনেনি বলে লোকজন অভিযোগ করেন। তারা বলেন বিআরবি কথা না শুনায় আমরা মৌখিকভাবে নগর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি কিন্তু কোনো সুরাহায় হয়নি। পরে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশরী নূর আজিজুর রহমান এবং ফুটপাত কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবরের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপে ছবি তুলে পাঠিয়ে জানালেও তারা বিষয়টি গুরুত্ব দেননি, কোনো রিপ্লাইও দেননি।