ওসমানীনগরের অগ্নিকান্ডে ২২ দোকান পুড়ে ছাই
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ অক্টোবর ২০২৩, ৫:৫৬:২৩ অপরাহ্ন
ওসমানীনগর প্রতিনিধি: ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজার হকার্স মার্কেটে ভোররাতে অগ্নিকান্ডে ২২টি দোকান পুড়ে ছাই হয়েছে। খবর পেয়ে তাজপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের অগ্নি নির্বাপক দলের কর্মীরা প্রায় দেড় ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। অগ্নিকান্ডে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কেটের ব্যবসায়ীরা।
এদিকে, গোয়ালাবাজারে স্থানীয় সরকারের পক্ষ থেকে একটি বহুতল ভবন নির্মাণ করা হবে জানা গেছে। গত বুধবার এ ভবনের জন্য স্থান হিসেবে এ মার্কেটটি নাকি পরিমাপ করা হয় এবং এর পরের রাতেই সরকারী স্থানে নির্মিত হকার্স মার্কেটটি আগুনে পুড়ে যায়।
জানা যায়, ২৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায় (ছাগল হাট এর) গোয়ালাবাজার হকার্স মার্কেটে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহূর্তেই আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে টিনশেডের হকার্স মার্কেটে। জ্বলে ছাই হয়ে যায় কোটি টাকার কাপড় সামগ্রী মালামালসহ মার্কেটের ২২টি কোঠা। আগুনে দ্বগ্ধ হয়ে মারা যায় মার্কেটের একটি দোকানে থাকা ১৬ টি ছাগল। ৫ টি ছাগলের অবস্থা খারাপ হলে জবাই করা হয়। হারিয়ে যায় আরো বেশ কয়েকটি ছাগল। খবর পেয়ে তাজপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর অগ্নি নির্বাপক দলের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় দেড় ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মার্কেটের ছাগল ব্যবসায়ী সানুর মিয়া বলেন, আগুনে আমার ১৬টি ছাগল পুড়ে গেছে। মোট ৩৩ টি ছাগল ছিল। এর মধ্যে ১২ টি পেয়েছি। ৫টির অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় জবাই করেছি। আমার আড়াই লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
মার্কেটের ব্যবসায়ী ওলিউর রহমান বলেন, আমাদের মার্কেটের সবকটি দোকান পুড়ে গেছে। আমার প্রায় ৫ লক্ষ টাকার মালামাল পুড়েছে। কিভাবে আগুন লেগেছে তা কিছুই বুঝতে পারছি না।
ইউপি সদস্য ও বাজারের ব্যবসায়ী বেলাল আহমদ বলেন, আমার ব্যবসার পাশেই হকার্স মার্কেটে আগুন লাগে। আগুনে পুড়ে ব্যবসায়ীদের কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। আগুনে সবকিছু হারিয়ে হকার্স মার্কেটের ব্যবসায়ীদের অবস্থা নিঃস্ব হয়ে গেছে।
গোয়ালাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান পীর মজনু মিয়া বলেন, আমি ভোরে খবর পেয়েছি বাজারে আগুন লেগেছে। খবর পাওয়ার সাথে সাথে পায়ার সার্ভিসে যোগাযোগ করি এবং বাজারে চলে আসি। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর আমি সেখান থেকে চলে যাই। কিভাবে আগুন লেগেছে তা বলতে পরবো না।
তাজপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ভারপ্রাপ্ত প্রধান সুকুমার সিংহ বলেন, আমাদের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেড়ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে। ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে এবং উদ্ধার হয়েছে ৪০ লক্ষ টাকার মালামাল।
ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নীলিমা রায়হানা বলেন, অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ক্ষয়ক্ষতির হিসাব নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছেনা। তবে প্রাথমিকভাবে সেখানে উপস্থিত ব্যবসায়ীরা ৫৪ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করা হচ্ছে। এই স্থানে সরকারী কোন ভবন নির্মান হবে কি- এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, স্থানীয় সরকারের পক্ষ থেকে গোয়ালাবাজারে একটি বহুতল ভবন নির্মাণ করা হবে। এ্যসিল্যান্ডের মাধ্যমে জায়গা পরিদর্শন করা হয়েছে। তবে এই স্থান কি, তা আমার জানা নেই।