হরতাল ও আটকে ৩ মৃত্যু
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ অক্টোবর ২০২৩, ৬:১৪:০৯ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক: রোববার হরতাল চলাকালে এক শ্রমিকলীগ নেতা ও এক যুবদল নেতার মৃত্যুর খবর মিলেছে। এছাড়া এক ছাত্রদল নেতা আটকের খবরে স্ট্রোক করে পিতার মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। জানা যায়, বিএনপির ডাকা দেশব্যাপী হরতাল কর্মসূচির দিন লালমনিরহাটে সংঘর্ষে জড়িয়েছে আওয়ামী লীগ-বিএনপি নেতাকর্মীরা। সংঘর্ষে জাহাঙ্গীর হোসেন (৪৮) নামে এক শ্রমিক লীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন আওয়ামী লীগের দুই কর্মী। তাদের একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে। লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত জাহাঙ্গীর সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও স্থানীয় বাফার গোডাউন লোড-আনলোড শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং বেড়পাঙ্গা এলাকার আজিজার রহমানের ছেলে।
যুবদল নেতাকে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা: রাজধানীর মোহাম্মদপুরের টাউন হল এলাকায় হরতালের সমর্থনে মিছিল করে ফেরার পথে যুবদলের এক নেতাকে পিটিয়ে ছাদ থেকে ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তার নাম আব্দুর রশিদ। আওয়ামী লীগের কর্মীরা ছাদে নিয়ে পিটিয়ে তাকে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করেছে বলে ঢাকা উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক।
রোববার দুপুরে গণমাধ্যমকে আমিনুল হক জানান, আব্দুর রশিদ আদাবর থানার সাবেক যুবদল নেতা ও বর্তমান আদাবর থানা বিএনপির অন্তর্ভুক্ত ৩০নং ওয়ার্ড বিএনপির স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। সকালে হরতালের সমর্থনে মোহাম্মদপুর টাউন হল একাকায় ঝটিকা মিছিল শেষে ফেরার পথে আওয়ামী লীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের কবলে পড়েন তিনি। এসময় তারা আব্দুর রশিদকে পুলিশের সামনেই তুলে নিয়ে যায়। পরে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এরপর নির্মাণাধীন একটি ভবনের ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করে।
ছেলে আটকের খবরে পিতার মৃত্যু: এর আগে ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশে যাওয়ার পথে ছেলে গ্রেফতার হওয়ার খবর শুনে স্ট্রোকে মৃত্যু হলো বাবা মো. লুৎফর রহমানের। শনিবার রাতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। মো. লুৎফর রহমান সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল কাইয়ুমের বাবা।