অবরোধের দ্বিতীয় দিনে বিচ্ছিন্ন সিলেট
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ নভেম্বর ২০২৩, ৬:৫৬:৫২ অপরাহ্ন
ছাত্রদল-শিবির ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষ, আটক ৬
![](https://dailyjalalabad.com/files/uploads/2023/11/hortal.jpg)
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর ডাকা দ্বিতীয় দিনে সিলেট মহানগরসহ বিভাগের চার জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিএনপি-জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা মিছিলসহ নানা তৎপরতা দেখিয়েছে। মহানগরীতে কমপক্ষে ২০ স্পটে পিকেটিং করেছে তারা।
প্রথম দিনের মতো গতকালও সিলেট থেকে সারাদেশের যোগাযোগব্যবস্থা প্রায় বিচ্ছিন্ন ছিল। সিলেট থেকে দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়নি। জামায়াত নেতাকর্মীরা মহাসড়ক অবরোধ করেছে। মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে বিএনপি-জামায়াত নেতা-কর্মীদের মিছিল, অবস্থান ও সংঘর্ষের কারণে আতঙ্কে সাধারণ মানুষের চলাচল ছিল খুবই কম। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বাসার বাইরে বের হয়নি। সকালে নগরের বন্দরবাজার এলাকার বিএনপি-জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের সাথে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের হয়। এ সময় কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে পিকেটাররা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে নগরের বন্দরবাজার এলাকার করিমউল্লাহ মার্কেটের পাশের গলি থেকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে বন্দরবাজার আসেন। এ সময় তারা রাস্তায় পিকেটিং শুরু করেন। পরে পুলিশের একটি লেগুনা কোর্ট পয়েন্ট থেকে করিমউল্লাহ মার্কেটের সামনে এলে সেটিকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোঁড়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এরপর তারা ঘুরে ধোপাদিঘী পয়েন্টের দিকে যায়।
একই সময়ে লালদিঘীরপারের গলি দিয়ে ছাত্রশিবিরের শতাধিক নেতাকর্মী বেরিয়ে আসেন। প্রায় একই সময়ে কোর্টপয়েন্ট থেকে বন্দরবাজারের দিকে মোটরসাইকেলে মিছিল করে আসছিল ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় ছাত্রদল-ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা ছাত্রলীগ কর্মীদের ধাওয়া করে। ফলে ছাত্রলীগ কর্মী পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশও ঘটনাস্থলে আসে। পরে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে অবরোধকারীদের ছত্র ভঙ্গ করে দেয়। সেখান থেকে ৬ জন নেতা-কর্মীকে আটক করে পুলিশ।
দুপুরে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালাবাজার ও রশিদপুরের মধ্যবর্তী আলিনগর এলাকায় যুবদল ও ছাত্রলীগের মাঝে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদশীরা জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আলিনগর এলাকায় সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে যুবদল হরতালের পক্ষে একটি মিছিল নিয়ে বের হয়। একই সময় দক্ষিণ সুরমা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী যুবদলকে ধাওয়া দিলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রæত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
বুধবার অবরোধের দ্বিতীয় দিনে পুরো সিলেটে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যানবাহনের সংখ্যা খুব একটা দেখা যায়নি, ছিল না চিরচেনা যানজটও। নগরীর বন্দরবাজার, তালতলা, জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা, রিকাবীবাজার, লামাবাজার, আম্বরখানা, সোবহানীঘাট, টিলাগড়, সুবিদবাজার, মদিনা মার্কেট, হুমায়ুন রশীদ চত্ত¡র, কদমতলীসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সীমিত সংখ্যক অটোরিকশা, পিকআপ ভ্যান, রিকশা ও প্রাইভেট কার চলাচল করতে দেখা গেছে। সকাল ১১টার দিকে মহাসড়কের চন্ডিপুল এলাকায় দেখা যায়, অন্যান্য দিনের তুলনায় খুব কম যান চলাচল করছে। প্রতিদিন এই সময়ে বাসস্ট্যান্ডগুলোতে গাড়ির জটলা দেখা দিলেও তেমনটি দেখা যায়নি।