দোয়ারা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার হচ্ছে শিং কই পাবদা
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ নভেম্বর ২০২৩, ৮:১৩:২৪ অপরাহ্ন
![](https://dailyjalalabad.com/files/uploads/2023/11/Dowara-bazar.jpg)
???????????????????????
দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারের তালিকায় এবার যোগ হয়েছে পুকুরে চাষ করা পাবদা মাছ। দোয়ারাবাজার সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ ট্রাক পাবদা, কই ও শিং মাছ অবৈধ পথে ভারতে পাচার হচ্ছে। ভারতের বিভিন্ন এলাকায় সুনামগঞ্জে চাষ করা পাবদা মাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ভারতে বিক্রি করে দামও বেশি পাওয়ায় দিন দিন পাচারের পরিমাণ বাড়ছে। ভারতে পাচার হওয়ার কারণে স্থানীয় বাজারে পাবদা, শিং ও কই মাছের সংকট দেখা দিয়েছে। অবৈধ পথে ভারতে মাছ পাচার হওয়ায় একদিকে যেমন সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। তেমনি অন্যদিকে চাহিদা অনুযায়ী মাছ পাচ্ছেনা ছাতক-দোয়ারাবাজার এলাকার মানুষজন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ছাতক-দোয়ারাবাজার দুই উপজেলায় বিভিন্ন পুকুর থেকে পাবদা, শিং ও কই মাছ মিনি ট্রাকযোগে রাতের আঁধারে বাংলাবাজার ইউনিয়নের বাঁশতলা, শিমুলতলা, কুলাউড়া সীমান্তের (১২৩৬ নং-পিলার), বোগলা ইউনিয়নের ইদুকোনা সীমান্ত দিয়ে অবৈধপথে ভারতে পাচার হয়ে থাকে ।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বরফ দিয়ে পাবদা মাছ ১০-১৫ কেজি করে প্যাকেট করা হয়। কই ও শিং মাছ রাখা হয় পানির ড্রামে। এরপর ২৫-৩০ মণ মাছ প্রতি ট্রাকে বোঝাই করে বাংলাবাজারে তাদের গোপন আড়তে নিয়ে রাখেন। সেখান থেকে রাতে নিয়ে যাওয়া হয় বাংলাবাজারের ওইসব সীমান্তে। সেখানে ভারত এবং বাংলাদেশের শ্রমিকরা প্রস্তুত থাকেন। সুযোগ বুঝে তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে থাকা ট্রাক থেকে মাছের প্যাকেট মাথায় করে ভারতীয় ট্রাকে স্থানান্তর করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, এক ট্রাক মাছ পাচার করতে সীমান্তে তাদেরকে ২০-২৫ হাজার টাকা ঘুষ গুণতে হয়। তারপরও তাদের ট্রাক প্রতি লাভ থাকে ১০-১২ হাজার টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মাছ ব্যবসায়ী জানান, বাজারে পাবদা মাছ পাইকারি ৩০০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়। ঢাকা পাঠালে ৩৭০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা কেজিতে দর পাওয়া যায়। আর ভারতে চোরাই পথে পাঠাতে পারলে ৪৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা যায়। তাতে সব খরচ মিটিয়ে ট্রাক প্রতি ১০-১৫ হাজার টাকা লাভ পাওয়া যায়। তিনি বলেন, ছোট সাইজের মাছ ভারতে চলে না। সেখানে কেজিতে ২৫-৩০টি এমন সাইজের মাছের চাহিদা বেশি। প্রতিদিনই পাবদা, শিং আর কই মাছ ভারতে যাচ্ছে। আর এ কারণে স্থানীয় বাজারে মাছের সংকট দেখা দিয়েছে। যারা পুকুরে মাছ চাষ করেন, তারা বাজারে বিক্রি করার আগেই পাচারকারীরা পুকুর থেকেই মাছ কিনে নিচ্ছেন।
দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ বদরুল হাসান বলেন, দোয়ারাবাজারের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন অসংখ্য ট্রাকযোগে বিভিন্ন প্রজাতির মাছে সরবরাহ হয়ে থাকে। তবে ভারতে পাচারের বিষয়টি জানা নেই। অনুসন্ধান করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দোয়ারাবাজার উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তুষার কান্তি বর্মন বলেন, দোয়ারাবাজার সীমান্ত দিয়ে পাবদা মাছ ভারতে পাচার হয় বিষয়টি জানা নেই। উর্ধতন কর্মকর্তাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিষয়টি অবগত করব।