ভোলাগঞ্জ বর্ডার হাটে বাংলাদেশী বিক্রেতাদের যেতে অনিহা
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ নভেম্বর ২০২৩, ৪:৫৮:৪৭ অপরাহ্ন
আব্দুল জলিল, কোম্পানীগঞ্জ : দু’দেশের পারষ্পরিক সম্পর্ক ও সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে জয়েন কমিউনিক অনুযায়ী উভয় দেশের সীমান্তে বর্ডার হাট স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। এরই প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভোলাগঞ্জ বর্ডার হাটের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ওই বছরেই শেষ করা হয়েছিল নির্মাণ কাজ। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী এই বর্ডার হাট উদ্বোধনের কথা ছিল। কিন্তু করোনাকালে বর্ডার হাট চালু করা সম্ভব হয়নি। ফলে চলতি বছরের ৬ মে উদ্বোধন হয় হাটটি। শুরুতে বিপুল আগ্রহ নিয়ে ও নিয়ম মেনে হাট চললেও এখন আর তা হচ্ছে না।
বর্ডার হাট নীতিমালায় ক্রেতাদের ৫ কিলোমিটার সীমারেখা ও ক্রেতা কার্ড বাধ্যতামূলক হলেও তা এখন কাগজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর ঘুরতে আসা পর্যটকরাই এখন ভারতীয়দের খুচরা ক্রেতা। পর্যটকরা নিয়মের তোয়াক্কা না করে অবাধে কার্ড ছাড়াই প্রবেশ করছে বর্ডার হাটে। এদিকে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়ের কারণে পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দেন ভারতীয় বিক্রেতারা। শুধু তাই নয় ভারতীয় বিক্রেতারা বাংলাদেশী ক্রেতাদের সাথে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগও রয়েছে।
এদিকে, ভারতীয় ক্রেতারা বাজারে না আসায় বাংলাদেশী বিক্রেতারা হাটে দোকান খুলেন না। ২৪টি দোকানের বেশিরভাগই বন্ধ থাকে। তাদের দাবি ভারতীয় ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য বাজারে আনতে না পারায় ক্রেতা টানা যাচ্ছে না বর্ডার হাটে। অপরদিকে মাত্র ২ ঘন্টায় ভারতীয় বিক্রেতাদের প্রায় অর্ধ কোটি টাকার মালামাল বিক্রি হয়ে যায়। সাড়ে ১০টায় বাজার ওপেন হওয়ার কথা থাকলেও ভারতীয় বিক্রেতাদের আসতে দুপুর ১২টা হয়। তবে ২টার মধ্যেই তারা তাদের পণ্যের অধিকাংশ বিক্রি করে ফেলে। বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন এই একতরফা বাজারকে ভারতের কাছে জনপ্রিয়তা বাড়াতে হলে মাছ মাংস শুঁটকি ডিম বিক্রির অনুমতি দিতে হবে। বর্ডার হাট ব্যবসায়ী ফরিদ মিয়া বলেন, ভারতীয় বিক্রেতাদের লক্ষ লক্ষ টাকার মালামাল বিক্রি হলেও আমাদের ক্রেতা নাই। ভারতীয় ক্রেতারা বাজারে আসেন না। তাদেরকে বাজারে ঢুকতে দেওয়া হয়না। নানাভাবে হয়রানি করা হয়।
ভোলাগঞ্জ বর্ডার হাট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান নোমান জানান, বাংলাদেশী বিক্রেতারা দোকান খোলে খরচের টাকা বিক্রি করতে পারে না। ভারতীয় ক্রেতারা তাদের চাহিদামতো মালামাল না পাওয়ায় বাজারে আসেন না। আমরা বাজার সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানাচ্ছি। তিনি আরো বলেন স্থানীয় উৎপাদিত দু-একটি পণ্য ভারতীয়রা নিতে চাইলে তাদের কাস্টমস বাধা দিচ্ছে।
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল হাসান বলেন, এ বিষয়ে বিস্তারিত আমার জানা নাই। খোঁজ নিচ্ছি।