কমিটি বিহীন ১ বছর জুড়ী ছাত্রলীগ
প্রকাশিত হয়েছে : ১২ নভেম্বর ২০২৩, ৫:০৭:৩৩ অপরাহ্ন
জুড়ী প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি নেই এক বছর ধরে। মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় গত বছরের ১ অক্টোবর জুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করে জেলা ছাত্রলীগ। এরপর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে জীবনবৃত্তান্ত আহ্বান করা হয়। ২০২২ সালের ১৫ অক্টোবর জেলা ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের নিকট পদ প্রত্যাশীরা জীবনবৃত্তান্ত জমা দিলে এক বছরেও কমিটি ঘোষণা করতে পারেনি জেলা ছাত্রলীগ।
দলীয় কর্মীরা জানান, ২০১৯ সালের ৭ ডিসেম্বর শাহাব উদ্দিন শাবেলকে সভাপতি ও ইকবাল ভূঁইয়া উজ্জ্বলকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই সদস্যের বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জুড়ী উপজেলা শাখা এবং আশফাক আহমদ আদনানকে সভাপতি ও গৌতম দাশকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই সদস্যের জুড়ী তৈয়বুন্নেছা খানম সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন করেন মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমীরুল হোসেন চৌধুরী (আমীন) ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম। এর তিন বছর পর মেয়াদোত্তীর্ণের অজুহাতে ২০২২ সালের ১ অক্টোবর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করে জেলা ছাত্রলীগ। অথচ একই সময়ের কলেজ ছাত্রলীগের দুই সদস্যের কমিটি এখনও বহাল। তিন বছরে উপজেলা কমিটি ও চার বছরে কলেজ কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে সংশ্লিষ্টরা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। উপজেলা কমিটি বিলুপ্তির পর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে জীবনৃবত্তান্ত আহ্বান করলে অর্ধশতাধিক প্রার্থী আবেদন জমা দেন। সেই থেকে এক বছর অতিক্রম হয়েছে। এখনও অদৃশ্য কারণে কমিটি ঘোষণা করতে পারেনি জেলা ছাত্রলীগ।
সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে জীবনবৃত্তান্ত জমা দেওয়া কেউ হয়েছেন ব্যবসায়ী, কেউ প্রবাসী আবার কেউবা বিয়ে করে হয়েছেন সংসারী। বয়সের কোটা পেরিয়ে অনেকে অন্যান্য সংগঠনে সক্রিয় হচ্ছেন। অপেক্ষাকৃত তরুণ কর্মীরা দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো: শাহাব উদ্দিন কেন্দ্রিক এবং অপর একটি গ্রুপ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন কেন্দ্রিক কার্যক্রম চালাচ্ছে।
দ্রুত উপজেলা ও কলেজ ছাত্রলীগের নতুন ও পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেয়ার দাবী জানিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পদ-প্রত্যাশীরা বলেন, একদিকে উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি নেই। অপরদিকে চার বছরেও কলেজ কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়নি। এমতাবস্থায় স্থবির হয়ে পড়েছে জুড়ীতে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম। বিচ্ছিন্ন ভাবে বিভিন্ন গ্রুপ-উপগ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়ছেন নেতাকর্মীরা। নানা কারণে নিজেরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাতে জড়িত হচ্ছেন। এক কথায় নিয়ন্ত্রণহীন। একদিকে মাঠের বিরোধী দলের আন্দোলন, অপরদিকে সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এমতাবস্থায় ছাত্রলীগের কমিটি না থাকায় দলকে কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে।
এ বিষয়ে জুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক মিয়া বলেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন। এই সময়ে ছাত্রলীগের কমিটি খুব প্রয়োজন।
মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমিরুল হোসেন চৌধুরী (আমিন) বলেন, আমরা সিভি নিয়েছি। সাংগঠনিক অনেক বিষয় ও লোকাল বিভিন্ন বিষয় আছে। মন্ত্রী রয়েছেন। আমরা সবার সাথে আলোচনা করে শীঘ্রই কমিটি দেব। জাতীয় নির্বাচন সামনে। তার আগে কমিটির দরকার রয়েছে।