ছাতকে বিএনপি-জামায়াতের ৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ নভেম্বর ২০২৩, ৫:২০:০৮ অপরাহ্ন
ছাতক প্রতিনিধি : বিএনপি-জামায়াতের চলমান আন্দোলনকে সামনে রেখে সারাদেশের ন্যায় ছাতকেও বিরোধী মতের নেতাকর্মীদের গ্রেফতারে চিরুনি অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। গত কয়েক দিনের অভিযানে বিএনপি-জামায়াতের ৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের বাসা-বাড়ী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও চলছে পুলিশী অভিযান। গ্রেফতার এড়াতে দলীয় নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে রয়েছেন।
বিএনপি-জামায়াতের দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিনের অভিযানে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ও ছাতক উপজেলা বিএনপি নেতা শামসুর রহমান শামছু, কালারুকা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমরু মিয়া, সিলেট মহানগর জামায়াত নেতা ও ভাতগাও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রর্থী উবায়দুল হক শাহীন, ধারণ গ্রামের আবদুস সামাদের ছেলে শিবির নেতা মহসিন, বাংলাদেশ মাদ্রাসা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সাবেক কেন্দ্রীয় আহবায়ক হাফিজ জাকির হোসেনের ছোট ভাই জোবায়েরকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া ২৮ অক্টোবর পরবর্তী সময়ে ছাতক উপজেলায় বিএনপি জামায়াতের প্রায় ১৫জন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতি রাতেই পুলিশ বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের বাসা-বাড়ী ও আত্মীয় স্বজনের বাড়ীতেও অভিযান চালাচ্ছে। গত কয়েকদিনে ছৈলা আফজলাবাদ ইউনিয়নের বাগইন গ্রামের মৃত গৌছুল হকের পুত্র জামায়াত নেতা শামীমুল হক, গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের পুত্র স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মো: মাহফুজুর রহমান, পশ্চিম সুহিতপুর গ্রামের ফিরোজ মিয়ার মেয়ে ছাত্রদল নেত্রী মোছা: নিপা বেগম, চরমহল্লা ইউনিয়নের মৃত ফজলুল হক মাষ্টারের পুত্র ছাত্রশিবির নেতা মোঃ আসয়াদুল হক, গনিপুর গ্রামের কাজী আনসার মিয়ার পুত্র ছাত্রদল নেতা কাজী মোজাম্মেল হুসাইন, দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের পালপুর গ্রামের মোহাম্মদ আব্দুন নুরের পুত্র ছাত্রদল নেতা সেবুল আহমদ, কালারুকা ইউনিয়নের রায়সন্তোষপুর গ্রামের মো: শাজাহান মিয়ার দুই পুত্র মো: রবিউল ইসলাম ও রাকিবুল ইসলাম ফায়েজ, বিএনপি নেত্রী ও ছাতক উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাশিদা বেগম ন্যান্সি, কাকুরা গ্রামের সুরোজ মিয়ার পুত্র বিএনপি নেতা রাসেল সহ অসংখ্য নেতাকর্মীদের বাড়িতে পুলিশ ব্যাপক তল্লাশী চালিয়েছে। পুলিশী তল্লাশী এখনো অব্যাহত রয়েছে।
ছাতক থানার ওসি মোহাম্মদ শাহ আলম ৫ জনকে আটকের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশে যারা অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির পায়তারা করছে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। যাদের বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগ ও মামলা রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।