২ মাসের মাথায় নববধূর মৃত্যু, স্বামী ও ভাসুর আটক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ নভেম্বর ২০২৩, ৭:৪৮:৫৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : দুই মাস আগে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন মিঠন ও পপি। বিয়ের দুই মাসের মাথায় স্বামীর বাসা থেকে মিলল পপির ঝুলন্ত মরদেহ। তবে পরিবারের অভিযোগ স্বামীর নির্যাতনের মৃত্যু হয়েছে পপির। এ ঘটনায় স্বামী ও ভাসুরকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে নগরীর শেখঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া পপি বেগম (২২) এসএমপির শাহপরাণ থানাধীন মেজরটিলা শ্যামলী আবাসিক এলাকায় অলফু মিয়া। তিনি তার স্বামী মিঠন মিয়ার সাথে শেখঘাট এলাকার একটি বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত ৮টার দিকে বসতঘরে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় পপিকে দেখতে পেয়ে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান মিঠন, ভাসুর সুহেল মিয়া এবং পপির বোন জামাই। পরে হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষান করেন। খবর পেয়ে হাসপাতালে আসেন পপির বাবা ও আত্মীয় স্বজন। পপির পরিবারে পক্ষ থেকে অভিযোগ ওঠে নির্যাতনে মৃত্যু হয়েছে তার।
এ ঘটনার পরে পপির স্বামী মিঠন মিয়া ও ভাসুর সুহেল মিয়াকে আটক করেছে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। তবে ঘটনার পরে থেকেই পপির বোন জামাই নিখোঁজ রয়েছে। আটককৃতরা হলেন, মৌলভীবাজারের জগন্নাতপুর এলাকার মৃত সেলিম মিয়া ছেলে মিঠন মিয়া ও সুহেল মিয়া।
পপিরি বাবা অলফু মিয়ার অভিযোগ, আমার মেয়েকে নির্যাতন করা হতো। ঘটনার দিন বিকালে তার স্বামীর বাসায় যায় এবং রাতে আমার মেয়েকে মেরে ফেলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে এসএমপির কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী মাহমুদ জানান, এ ঘটনার এখনো কোন মামলা দায়ের হয়নি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পপির স্বামী ও ভাসুরকে আটক করা করেছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে। আটক দুইজকে থানায় রাখা হয়েছে।