রেমিট্যান্সে ৫ শতাংশ প্রণোদনা মিলছে না
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ নভেম্বর ২০২৩, ৭:৪৪:১৮ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো রেমিট্যান্সে প্রণোদনা ৫ শতাংশ বাড়া নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। রেমিট্যান্স প্রত্যাশীরা ব্যাংকগুলোতে গিয়ে সেই প্রনোদনা পাচ্ছেন না। তাদের আগের মতো আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। রেমিট্যান্সে প্রণোদনা বেড়ে ৫ শতাংশ হলো বলে গত অক্টোবরের গণমাধ্যমগুলোতে সংবাদ প্রচার করা হয়। ২২ অক্টোবর থেকে যা কার্যকর হবে বলেও সেই সংবাদগুলোতে জানানো হয়। কিন্তু প্রায় একমাস পরও সেই প্রনোদনার কোনো খবর নেই। এ নিয়ে ব্যাংকগুলোতে রেমিট্যান্স প্রত্যাশীদের বাকবিতন্ডা করতে দেখা গেছে। কিন্তু বুধবার একাধিক ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে কথা বললে তারা জানান তাদের কাছে প্রণোদনা বাড়নোর কোনো নির্দেশনা আসেনি।
এদিকে অনেকেই বাড়তি প্রণোদনা পাওয়ার আশায় প্রবাস থেকে দেশে টাকা পাঠিয়েছেন। টাকা পাঠানোর সময় প্রনোদনার বাড়তি টাকা হিসেব করেও অনেকে পাওনাদারদের কাছে টাকা পাঠান। কিন্তু টাকা তুলতে গিয়ে গ্রাহকরা বাড়তি প্রণোদনা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাছাড়া পাওনাদারদের সাথেও প্রবাসীদের ফোনে দেনদরবার করতে দেখা গেছে। অনেকেই অভিযোগ করেছেন প্রবাসীরা এমনিতেই দেশে নানান বঞ্চনার শিকার। এই প্রণোদনার মুলা ঝুলিয়ে কী তাদের সাথে সরকারি পৃষ্টপোষকতায় প্রতারণা করা হলো?
এরআগে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে প্রতি ডলারের বিপরীতে বাড়তি টাকা দেওয়ার নীতি গ্রহণ করা হয় গত অক্টোবরে। এর আলোকে প্রবাসীরা বর্তমান বিনিময় হারের সঙ্গে বাড়তি ৫ শতাংশ প্রণোদনা পাওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে সরকার থেকে দেওয়া আড়াই শতাংশের সাথে আরও আড়াই শতাংশ বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল।
গত ২০ অক্টোবর বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি) এমন সিদ্ধান্ত নেয়। এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্মতিও ছিল। তবে সিলেটের একাধিক বাণিজ্যিক ব্যাংকের সাথে কথা বলে জানাগেছে তাদের কাছে বুধবার ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা আসেনি। যা ২২ অক্টোবর রোববার থেকে কার্যকর হবে বলে বাফেদা চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আফজাল করিম গণমাধ্যমে সে সময় নিশ্চিত করেন।ডলার সংকটের মধ্যে টানা তিন মাস ধরে কমে যায় বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের পাঠানো রেমিট্যান্স। নানান উদ্যোগ নেওয়ার পরও এ আয় বাড়ানো যাচ্ছিলো না। তাই এই প্রণোদনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। প্রবাসী বাংলাদেশিদের রেমিট্যান্স আনতে সরকারের ২.৫ শতাংশ প্রণোদনার পাশাপাশি ব্যাংকগুলো অতিরিক্ত এই ২.৫ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়ার কথা ছিল। এটি কার্যকর হলে বৈধপথে দেশে বৈদেশিক আয় পাঠালে মোট ৫ শতাংশ প্রণোদনা পাওয়া যেতো। তবে জানানো হয় এটি দিতে সব ব্যাংক বাধ্য নয়। ব্যাংকগুলো নিজস্ব তহবিল থেকে এ অর্থ দিতে পারবে। ব্যাংকের ডলারের চাহিদার ভিত্তিতে তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।