হরতালের প্রভাব নগরে সড়কে
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ নভেম্বর ২০২৩, ৯:১০:১৬ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: পাঁচ দফা অবরোধের পর ‘একতরফা’ তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতালের প্রথম দিন সিলেটে যানবাহন চলেছে খুবই কম। নগরে কিছুটা চললেও মহাসড়কে দূরপাল্লার কোন যান চলেনি। হরতাল চলাকালে সিলেটে ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
রোববার সকাল থেকেই সক্রিয় ছিলেন বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা। তারা বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ¦ালিয়ে পিকেটিং করতে দেখা গেছে।এদিকে নগরের বিভিন্ন মোড়ে সতর্ক অবস্থানে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায় পুলিশ সদস্যদের। এছাড়া টহল দিতেও দেখা গেছে বিজিবি ও র্যাবের একাধিক দলকে।প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকাল ৮টার দিকে দক্ষিণ সুরমার সুলতানপুর এলাকায় সড়কে অবস্থান নিয়ে হেলমেট পরা কয়েকজন যুবক পিকেটিং করেন। এসময় একটি সিএনজি অটোরিকশার গ্লাস ভাঙচুর করা হয়। সকাল ৭টার দিকে নগরের চৌকিদিঘী এলাকার সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে পিকেটাররা ওই এলাকা ত্যাগ করে। দুপুরে খাসদবির এলাকায় সড়ক অবরোধ করে সরকার বিরোধী বিভিন্ন শ্লোগান দেয় হরতালকারীরা। এ সময় একটি ট্রাক ভাঙচুর করার পাশাপাশি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বিএনপি নেতাকর্মীরা। এছাড়া নগরের ওসমানী মেডিকেল কলেজ রোড, শাহী ঈদগাহ, বিমানবন্দর এলাকা এবং সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের টুকেরবাজার ও সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কের মোগলাবাজার এলাকায় বিক্ষোভ ও পিকেটিং করেছেন স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এদিকে হরতালের কারণে সিলেটে যানবাহনের চলাচল অন্যান্য দিনের চেয়ে অনেকটা কম ছিলো। সিলেট থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। সকাল থেকে নগরীর সড়কগুলোতে সিএনজি অটোরিকশা, লেগুনা, রিকশা, মোটরসাইকেলসহ কিছু ব্যক্তিগত প্রাইভেট কার চলাচল করতে দেখা গেলেও এই সংখ্যা অবরোধের দিনগুলোর চেয়েও কম ছিল। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষদের। হরতালের কারণে নগরীর ছোট দোকানপাট খোলা থাকলেও বন্ধ ছিলো শপিংমল ও বিপনী-বিতান। হরতালের প্রভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের উপস্থিতি কম ছিল।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ‘একতরফা’ তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে সারা দেশে রোববার সকাল থেকে বিএনপির ৪৮ ঘণ্টার হরতাল পালিত হচ্ছে। আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত হরতাল চলার কথা রয়েছে।