নগরজুড়ে গ্যাসের গন্ধ!
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ নভেম্বর ২০২৩, ৮:০৬:০৪ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। যদিও বাতাসে ছড়িয়ে পড়া গ্যাসের গন্ধ জনসাধারণকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিসন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড কর্তৃপক্ষ।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার দুপুর থেকে নগরীর নয়াসড়ক, কাজিটুলা, আখালিয়া, শিবগঞ্জ, মিরের ময়দান, সুবিদবাজার, হাউজিং স্টেট, শামীমাবাদ, ভাতালিয়া ও কানিশাইল এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস লাইন থেকে বাতাসে গন্ধ পাওয়া যায়। এতে মানুষের মাঝে আতঙ্ক দেখা দেয়।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার বিকেল শুরুর দিকে থেকে কিছু এলাকায় সামান্য গন্ধ আসলেও বিকেলের শেষের দিকে থেকে বেশকিছু এলাকায় গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। পাশাপাশি বাড়তে থাকে গন্ধের মাত্রা। গ্যাস লাইনে লিকেজজনিত কারণে এমনটি হচ্ছে ভেবে অনেকেই জালালাবাদ গ্যাস ও ফায়ার সার্ভিসে যোগাযোগ করেন। আবার অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গ্যাসের গন্ধের বিষয়টি পোস্ট করেছেন এতে করে আরও বেশি আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। তবে বাতাসে ছড়িয়ে পড়া গ্যাসের গন্ধ সবাইকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিসন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড কর্তৃপক্ষ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষ নগরীতে গ্যাসের সরবরাহ সঠিক রাখতে লিকেজ চেক করছে। সে জন্য এক প্রকার স্প্রে গ্যাসের ব্যবহার করছে কর্তৃপক্ষ। যার গন্ধ পুরোপুরিই গ্যাসের মতোই। এই গ্যাসের কাজ হচ্ছে লাইনের যেসব স্থানে ছিদ্র রয়েছে সেই জায়গাগুলোকে শনাক্ত করার জন্য।
এব্যাপারে জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিসন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. সারোয়ার জাহান মাহমুদ বলেন, এটা একটা স্বাভাবিক বিষয়। এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ গ্যাসের মধ্যে যে গন্ধ দেয়া হয়, সেটা নিরাপত্তার জন্যই দেয়া হয়। এতে লিকেজ হলে গন্ধ বের হয়।
তিনি আরও বলেন, সোমবার বিকালের দিকে আমরা নগরীর বেশ কয়েকটি এলাকায় গ্যাস লাইন লিকেজ আছে কিনা সেটা জানার জন্য গ্যাসের মধ্যে গন্ধ দেয়া হয়। গ্রাহকের ঘরের মধ্যে অনেক পুরাতন জিআই লাইন থাকে। এগুলো দিলে যেসব এলাকায় লিকেজ রয়েছে সেখানকার মানুষ সচেতন হবে এবং তারা আমাদের বিষয়টি জানালে আমরা তা মেরামত করবো।