হরিপুরেও নতুন গ্যাস কূপ, ৪৩ মিলিয়ন ঘনফুট মজুত
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ নভেম্বর ২০২৩, ৯:২৩:২৮ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : কৈলাশটিলার পর সিলেটের হরিপুরে নতুন একটি কূপে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। কূপটিতে ৪৩ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ রয়েছে বলে জানিয়েছে সিলেট গ্যাস ফিল্ড কর্তৃপক্ষ। সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর গ্যাসক্ষেত্রের ১০ নং কূপে নতুন এই গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে।
এলএনজির আমদানি মূল্য হিসেবে এই গ্যাসের দাম প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। রোববার বিষয়টি জানিয়েছেন সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত জুন থেকে হরিপুর গ্যাস ক্ষেত্রের ১০ নম্বর কূপে অনুসন্ধান শুরু হয়। প্রায় ২০২ কোটি টাকা প্রকল্প ব্যয়ে অনুসন্ধান কার্যক্রম চালানো হয়। কূপটিতে প্রায় ৪৩ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কূপটি থেকে প্রতিদিন ১৩ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা যাবে।
সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, কূপ থেকে গ্যাসের উত্তোলন পর্যায়ে যেতে আরও প্রায় ৬ মাসের মতো সময় লাগবে। নতুন কূপটি থেকে এর আগে গ্যাস উত্তোলন করা হয়নি। তবে হরিপুর গ্যাসক্ষেত্রের ৭ ও ৯ নম্বর কূপ থেকে বর্তমানে গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এর আগে, গত ২২ নভেম্বর সিলেট কৈলাসটিলায় পরিত্যক্ত ২ নং কূপ থেকে গ্যাস জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়। যেখান থেকে দৈনিক ৭০ লাখ ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হচ্ছে জাতীয় গ্রিডে।
এদিকে, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ রোববার জানিয়েছেন, ওয়ার্কওভারের পর কৈলাসটিলায় নতুন গ্যাস পাওয়া গেছে। এখানে প্রায় ৭০ বিলিয়ন ঘনফুট (বিসিএফ) গ্যাসের মজুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘গত ৭ থেকে ৮ মাসে আমাদের গ্রিডে ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট নতুন গ্যাস যুক্ত হয়েছে। বেশ কিছু কূপে নতুন গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু সেগুলো প্রসেস প্ল্যান্ট এবং সঞ্চালন লাইন রেডি না হওয়ায় গ্রিডে আসতে পারছে না।’ তিনি আশা করছেন, প্রসেস প্ল্যান্ট এবং সঞ্চালন লাইন নির্মাণের কাজ সমান্তরালভাবে চললেও এসব গ্যাস গ্রিডে যোগ করতে দুই বছরের মতো সময় প্রয়োজন হবে।