গোয়াইনঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিভিন্ন ডিজিটাল সেবা চালু
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ৮:০০:১১ অপরাহ্ন
মো. আব্দুল মালিক, গোয়াইনঘাট: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রথম শুরু হলো এক্সরে, আলট্রাসনো, ইসিজিসহ বিভিন্ন ডিজিটাল সেবা। এলাকাবাসীর স্বাস্থ্য সেবায় নবযাত্রার শুরু হলেও এখনও জনবল সংকট রয়েছে চরমে।
গোয়াইনঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৩১ শয্যা নিয়ে যাত্রা শুরু করে সত্তর দশকে। ২০০৫ সালে নতুন ত্রিতল ভবন নির্মাণ হয়। ২০১১ সালের ২২ জানুয়ারী কমপ্লেক্সটি ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত হয়। এলাকাবাসীর আশা ছিল স্বাস্থ্য সেবায় আসবে পরিবর্তন। অবশেষে ১৩ বছর পর গত ১৫ নভেম্বর শুরু হলো এক্সরে ও আলট্রাসনো সেবা। ২০০৫ সালে সরকার কর্তৃক এক্সরে মেশিন দিলেও ছিল বাক্সবন্দী। সচল করতে শুধু টাকাই খরচা দেখানো হয়ছে। সেবা পায়নি জনসাধারণ। এ বছর আরও একটি এক্সরে এলে পুরোনটিও সচল করে সেবা প্রদান শুরু করেন স্বাস্থ্য প্রশাসক ডাঃ কিশোলায় সাহা। তবে টেকনিশিয়ান না থাকায় জৈন্তাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টেকনিশিয়ান আব্দুস সাত্তার সপ্তাহে বুধ ও বৃহস্পতিবার এখানে সেবা দেন। আলট্রাসনো সেবাও প্রতিদিন দুপুর ১২ টা থেকে একটা পর্যন্ত চালু হয়েছে। ইসিজি অনেক পূর্বেই কমপ্লেক্সে ছিল কিন্তু সেবা ছিল না।
দন্ত বিভাগে ২২ সালের বন্যায় নষ্ট হওয়া চেয়ার এক্সরে সচল হলেও নেই প্রয়োজনীয় উপকরণ। নেই সহকারী সার্জন দন্ত। যন্ত্রনাকাতর দাঁতের রোগীরা অসহায় রয়েছেন। ঐ বিভাগের একমাত্র ভরসা ডেনটিস্ট টেকনিশিয়ান সামসুর রহমান সাগর।স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক কর্মচারী সংকট রয়েছে। ওটি সেবা এখনও হয়নি চালু। সার্জারী চিকিৎক থাকলেও থাকেন না এ্যানেস্থেশিওলজিষ্ট। ফলে বিশাল ওটির কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
১০জন জুনিয়র কনসালটেন্টসহ মোট ৩০ চিকিৎসকের পদে ১১ জন রয়েছেন। আরও দুজন অন্যত্র প্রেসনে আছেন। দুজন জুনিয়র কনসালটেন্টের পদোন্নতি হওয়ায় শিঘ্রই চলে যাবেন। এলাকায় চর্মরোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়লেও কোন বিশেযজ্ঞ চিকিৎসক আজ পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ পোস্টিং দেননি। ল্যাবের লোকজন থাকলেও বিভিন্ন উপকরণ, নেই যার ফলে সঠিক চিকিৎসা ব্যহত হচ্ছে।
নার্স ৩০ পদে ২৮ জন কাগজে কলমে থাকলে ৫ জনকে প্রেসন অন্যত্র নেয়া হয়েছে। খাদিজা বেগম ও তাহেরা রহমান নামে দু’জন নার্স ২১ সালে যোগদান করলেও আর দায়িত্ব পালনে আসেননি। ওয়ার্ড কর্মীরা জরুরী বিভাগে দায়িত্ব পালন করতে হয়।
স্বাধীনতার ৫২ বছর পর উপজেলাবাসীর স্বাস্থ্যসেবায় উন্নত প্রযুক্তি সংযোজনে যে নব দিগন্ত হাতছানি দিচ্ছে চিকিৎসক, কর্মচারী আর চিকিৎসা উপকরণের অভাবে আবার যেন বন্ধ না হয়-সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট সচেতন মহলের এটাই প্রত্যাশা।