শিলংয়ের সেভহোম থেকে ফিরলো সিলেটের কিশোর
প্রকাশিত হয়েছে : ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ৬:৫৩:১৪ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : ভারতের মেঘালয় শিলংয়ের একটি সেভহোমে থাকা বাংলাদেশী নাগরিককে সিলেটের তামাবিল ইমিগ্রেশন দিয়ে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তামাবিল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে ভারতীয় বিএসএফ ও ডাউকি ইমিগ্রেশন পুলিশ হস্তান্তর করে। বাংলাদেশী নাগরিক লিল চন্দ্র শিল (১৭) কানাইঘাট উপজেলার দর্পন নগর গ্রামের শিপন চন্দ্র শিলের ছেলে।
গত দু’-তিন বছর থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন থাকা অবস্থায় অনুমান পাঁচ-ছয় মাস পূর্বে বাড়ির কাউকে না জানিয়ে বের হয়ে যায়। পরবর্তীতে জানা যায় লিল চন্দ্র শিল ভারতের শিলংয়ে রয়েছে। তার বাবা বিষয়টি সিলেটের ব্র্যাক মাইগ্রেশনকে অবগত করলে ব্র্যাকের সহায়তায় ভারতের শিলং-এ অবস্থানরত একটি শিশু সেভহোমে আটক থাকার তথ্য নিশ্চিত করা হয়।এ সংক্রান্ত সংবাদ সিলেটের ব্র্যাক মাইগ্রেশনের কর্মকর্তারা ইম্পালস এনজিও নেটওয়ার্ক ভারত এর নজরে দেয়। পরে ভারতের আসামের গুয়াহাটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনার রুহুল আমিনসহ হাই কমিশনের কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে শিলং সেভহোমে থাকা শিশুর বাংলাদেশী নাগরিকত্ব যাচাই করে দেশে আসার ট্রাভেল পারমিট পাস প্রদান করে।ডাউকি ইমিগ্রেশন পুলিশ স্থানীয় বিজিবি ও বিএসএফসহ শিশুটির বাবা পরিবারের অন্য সদস্য ও ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের কর্মকর্তা এবং সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে তাকে তামাবিল ইমিগ্রেশন পুলিশের (ইনচার্জ) রুনু মিয়ার কাছে হস্তান্তর করা হয়।
লিল চন্দের পিতা শিপন চন্দ বলেন, ‘আমার ছেলে গত দুই তিন বছর ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ, তাকে পায়ে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখতে হয়। না হয় সে পালিয়ে যায়।’তিনি জানান জাফলং জিরো পয়েন্ট দিয়ে কাজের জন্য ভারতের আসামের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল সে। পরে তিনি বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ভারতীয় পুলিশের কাছে সে আটক হয়। আটকের সময় বয়স ১৮-এর কম হওয়ায় লিল চন্দকে আদালতের নির্দেশে নিউ শিলং বয়েজ অবজারভেশন হোমে আটক রাখা হয়। সেখানকার কর্মকর্তা জোসেফাইন সুমার বলেন, লিল চন্দ শিল মানসিকভাবে সুস্থ নন, তিনি আমাদের কেন্দ্র থেকেও একবার পালিয়ে গিয়েছিলেন। গতকাল আদালতের নির্দেশে আমরা তাকে বাংলাদেশে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করলাম।
হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন তামাবিল ইমিগ্রেশন পুলিশ চেক পোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রনু মিয়া, ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের এমআরএসসি কোর্ডিনেটর শুভাশীষ দেবনাথ ও ইম্পাললের পক্ষ থেকে জোনাথান, পুলিশ কর্মকর্তা সানাউল হক রমজানসহ অন্য কর্মকর্তারা।