সুনামগঞ্জে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ৩ প্রার্থীকে তলব
প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ৫:৪৬:৫৩ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে সরকার দলীয় দুই প্রার্থী এবং জাপার এক প্রার্থীর কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি।সুনামগঞ্জ-৪ আসনে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির পক্ষ থেকে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ কাঁকন দে স্বাক্ষরিত এমন চিঠি আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ সাদিককে দেওয়া হয়।চিঠিতে বলা হয়, মোহাম্মদ সাদিক সুনামগঞ্জ শহরের প্রধান প্রধান সড়কে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রাসহ শোডাউন করে সমাবেশে মিলিত হন। এতে জনগণের চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। এটি সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়েছে।
একই অভিযোগ আনা হয় জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী সুনামগঞ্জ-৪ আসনের মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ্’র বিরুদ্ধে। নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির পক্ষ থেকে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ কাঁকন দে স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ্ শহরে মোটরসাইকেল শোডাউন করে মানুষের চলাচলে বিঘ্নতা সৃষ্টি করেছেন। এর মাধ্যমে এই দুজন প্রার্থীই নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘন করেছেন।
ভবিষ্যতে এ ধরনের অনিয়ম যেন না হয় সে জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দুজনকেই অনুরোধ করা হয় চিঠিতে। একই সঙ্গে সোমবার বেলা ১১টার মধ্যে তিনি নিজে অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।এ বিষয়ে রনজিত সরকারকে দেওয়া নোটিশে বলা হয়েছে, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী সুনামগঞ্জ-১ আসনে একটি প্রতীকের প্রার্থী রনজিত সরকারকে মোটরসাইকেল শোডাউনের মাধ্যমে বরণ করে নেওয়া হয়। এরপর মোটরসাইকেল শোডাউনসহ তিনি ৪০ কিলোমিটার সড়ক প্রদক্ষিণ করে তাহিরপুর উপজেলা সদর বাজারে যান। সেখান বক্তব্য রাখেন এবং একটি প্রতীকের জয় সুনিশ্চিত করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান। সংবাদ মাধ্যমের এই খবর সত্য হলে তা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল।
এ বিষয়ে তদন্ত করে কেন তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন প্রেরণ করা হবে না এ বিষয়ে সোমবার সকাল ১০টায় লিখিত ব্যাখা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে রনজিত সরকার বলেন, আমি আচরণবিধি লঙ্ঘন করিনি। যেহেতু ব্যাখা চাওয়া হয়েছে, আমি সেটি দেব।