ওসমানীনগরে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ নিয়ে উত্তেজনা, ১৪৪ ধারা জারি
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ৭:২৬:১৩ অপরাহ্ন
ওসমানীনগর প্রতিনিধি: ওসমানীনগরের বড় হাজিপুর গ্রামে বসত বাড়ির ভূমিতে দেওয়াল নির্মাণ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। ঘটনার পর একটি পক্ষ আদালতে আবেদন করলে আদালত বিরোধপূর্ণ ভূমিতে ১৪৪ ধারা জারি করেন।
জানা যায়, গত ৮ ডিসেম্বর সোমবার সকালে উপজেলার পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়নের বড় হাজিপুর গ্রামে মৃত তাহিদ উল্লাহ’র ছেলে আব্দুল হামিদ গং এবং মৃত আয়ুব আলীর ছেলে আনর আলীর (৪৫) মধ্যকার বিরোধপূর্ণ ভূমিতে আব্দুল হামিদ গং সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এরপর আনর আলী বিরোধপূর্ণ ভূমিতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে বাঁধা দিলে উভয়পক্ষে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ৬ ডিসেম্বর আনর আলী সিলেট কোর্টে একটি মামলা দায়ের করলে আদালত বিবদমান ভূমিতে ১৪৪ ধারা জারি করেন। ৭ ডিসেম্বর দুপুরে ওসমানীনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষকে শান্ত থাকতে এবং সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে আদালতের নোটিশ প্রদান করে নির্দেশনা দিয়ে আসেন।
মামলার বাদী আনর আলী বলেন, আমার মা ১৮ বছর পূর্বে আব্দুল হামিদ এর কাছে ১শতাংশ ভূমি বিক্রি করেন। আমার মা লেখাপড়া জানে না। এ সুযোগে তিনি দলিলে ৩ শতাংশ লিখে নেন। পরবর্তিতে আমরা বিষয়টি বুঝতে পারলে গ্রাম্য সালিশের আয়োজন করি। ৬ বার গ্রাম্য সালিশ হওয়ার পর সালিশে রায় হয় ২ শতাংশ ভূমি রেজিস্ট্রি করে ফিরিয়ে দিতে, কিন্তু তিনি তা ফেরত দেননি। ইদানিং আব্দুল হামিদ থানায় আমার উপর মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে আমার বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে ভয় ভীতি দেখিয়ে বিবদমান ভূমিতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ করছেন। আমি আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত ভূমিতে ১৪৪ ধারা জারি করেছেন।
বিবাদী আব্দুল আলী বলেন, আমরা আমাদের ভূমিতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ করছি। সে অন্য একটি দাগের উপর আদালতে মামলা দায়ের করেছে। উক্ত ভূমি এই দাগের না হওয়ার পরেও আমরা আদালতের রায়কে সম্মান জানিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। কোর্টে কাগজপত্র দিলে প্রমাণ হবে ভূমির মালিক কে।
এ ব্যাপারে ওসমানীনগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মাছুদুল আমিন বলেন, হাজীপুরে দেওয়াল মির্মাণ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সমস্যা আছে। আদালতে একটি পক্ষ আবেদন করলে আদালত ১৪৪ ধারা জারি করেছেন। আদালতের নোটিশ দিয়ে পুলিশ দু’পক্ষকে শান্ত থাকার আহবান জানিয়ে এসেছে।