দিরাইয়ে নিখোঁজের ৫দিন পর যুবকের লাশ উদ্ধার

দিরাই প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে নিখোঁজের পাঁচদিন পর হাত পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় নদী থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার নাম সুজিত বর্মন (৩০)। সে করিমপুর ইউনিয়নের চান্দপুর গ্রামের শ্যামা বর্মনের ছেলে। শনিবার সকাল সাড়ে ৯ টায় স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে দিরাই থানা পুলিশ ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। মরদেহ উদ্ধারের ঘটনাটি প্রাথমিকভাবে হত্যাকান্ড বলে ধারণা করছে পুলিশ।

দিরাই থানা পুলিশ ও গ্রামবাসী সুত্রে জানা যায়, সুজিত বর্মণ গত ৫ দিন আগে নিখোঁজ হলেও কেউ খোঁজাখুঁজি করেনি বা কাউকে জানানো হয়নি। শনিবার সকালে গ্রামের লোকজন চানপুর (জয়নগর) সংলগ্ন কালনী নদীতে অজ্ঞাত যুবকের একটি ভাসমান মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। এসময় সুজিতের পরিবারের লোকজন লাশটি দেখেও শনাক্ত করতে পারেনি। দিনভর প্রচার হয় অজ্ঞাত লাশ হিসেবে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট করার সময় হাত পা বাঁধা ও মুখে স্বচটেপ মুড়ানো দেখতে পেয়ে এটি হত্যাকান্ড বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করে। এরপর মরদেহটি চানপুর গ্রামের শ্যামা বর্মণের ছেলে নিখোঁজ সুজিত বর্মণের বলে শনাক্ত করা হয়।

গ্রামবাসী জানায়, সুজিত বর্মণ মোবাইলে ফেসবুকসহ বিভিন্ন গেইম খেলায় আসক্ত ছিল এবং তার সমবয়সীদের নিয়ে গ্রামের সখি বর্মণ নামের একজনে বাড়িতে দিনরাত আড্ডা দিত।

দিরাই থানার ওসি কাজি মুক্তাদির হোসেন বলেন, গ্রামবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে ভাসমান লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দিরাই সার্কেল শহিদুল ইসলাম মুন্সি বলেন, মরদেহের আলামত দেখে ধারনা করা হচ্ছে এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড, রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ।