ব্যরিষ্টার মইনুল অত্যন্ত সদালাপি ভদ্রলোক ছিলেন : প্রধান বিচারপতি
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ৯:৩১:৪৫ অপরাহ্ন
জালালাবাদ ডেস্ক : সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ব্যরিষ্টার মইনুল হোসেন অত্যন্ত সদালাপি ভদ্রলোক ছিলেন বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে রোববার বাদ জোহর মরহুমের জানাজার আগে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, মইনুল হোসেনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান হলো দেশের জুডিশিয়ারি যখন নাকি একটি খারাপ অবস্থায় পড়ে গিয়েছিল, এরশাদ সাহেবের আমলে বিভিন্ন জায়গায় হাইকোর্ট বেঞ্চ বসানো হয়েছিল। অষ্টম সংশোধনী মামলায় ব্যারিস্টার ইশতিয়াক আহমেদসহ অন্যান্য বড় আইনজীবীর সঙ্গে তিনিও ছিলেন।
জানাজার আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, মইনুল হোসেন আদ্যোপান্ত একজন আইনজীবী ছিলেন। আইনজীবীদের জন্য আইনজীবীবান্ধব মানুষ ছিলেন। আইনজীবীদের প্রয়োজনে পাশে দাঁড়িয়েছেন ও সহায়তা করেছেন। সব সময় আইনজীবীদের স্বার্থে ও আইনজীবীদের জন্য কাজ করার চেষ্টা করেছেন।
মইনুল হোসেন জুনিয়রবান্ধব (জুনিয়র আইনজীবী) ছিলেন উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির বলেন, ‘সমিতির কোনো ক্রাইসিসে যখনই বলেছি, তখনই উনি অংশগ্রহণ করেছেন। সমিতির প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল ও কমিটেড ছিলেন। জুডিশিয়ারিতে তাঁর যে অবদান, তা বিরল—বিচার বিভাগ পৃথককরণে তিনি অবদান রেখেছেন।’
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক মো. আবদুন নূর। জানাজার শুরুতে মইনুল হোসেনের বিদেহী আত্মার প্রতি শান্তি কামনা এবং সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করে বক্তব্য দেন তাঁর বড় ছেলে জাবেদ হোসেন। জানাজায় প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, সাবেক প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেন, মইনুল হোসেনের ভাই সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম আমীর উল ইসলাম, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির, সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন, আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ও আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। জানাজা শেষে তাঁর কফিনে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।